Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্যাম্পলসহ পুরো টিম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই: ড. বিজন


২৭ মার্চ ২০২০ ১০:১৮

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড১৯ রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিার ডাক আগেই পেয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী . বিজন কুমার শীল কিন্তু করোনাভাইরাস বিস্তার রোধেসামাজিক দূরত্বমেনে চলার বিষয়টি অন্যকে বাধ্য করার আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেটি মেনে চলছেন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না তিনি সে কারণে . বিজন কুমার শীল আপাতত সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

বিজ্ঞাপন

এদিকে কোভিড১৯ শনাক্তকরণ পদ্ধতির জন্য যে রিএজেন্টগুলো আমদানির অনুমোদন পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সেগুলোও এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছেনি ইংল্যান্ড থেকে আগামী সোমবার নাগাদ সেগুলো ঢাকায় আসার সম্ভবনা রয়েছে

অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় হাতে পাচ্ছেন . বিজন কুমার শীল এবং তার সহকর্মীরা সে কারণেই পুরো কাজটি সম্পন্ন করে কোভিড১৯ শনাক্তকরণ পদ্ধতির স্যাম্পলসহ পুরো টিম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান . বিজন কুমার শীল

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) মোবাইল ফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আসাদ জামান সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো

সারাবাংলা: প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কবে নাগাদ যাচ্ছেন দেখা করতে?

ড. বিজন কুমার শীল: হ্যাঁ, আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি তো আগেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে কারও সঙ্গে কোথাও দেখা করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ! আমরা প্রত্যেকেই হয়তো ভাবছি, ‘আমি সুস্থ!’ কিন্তু কে সুস্থ, আর কে অসুস্থ— সেটা তো তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। এ অবস্থা কারও সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।

সারাবাংলা: মানে আপনি ‘সামাজিক দূরত্বের’ বিষয়টি বলছেন?

ড. বিজন কুমার শীল: হ্যাঁ, এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরও বেশি প্রযোজ্য। কারণ, তার জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার সেফটি, সুরক্ষা সবার আগে। তিনি সুস্থ থাকলে আমরা সবাই সুস্থ থাকব। তাছাড়া সামাজিক দূরত্বের যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, সেটি সবার আগে নিজে মেনে চলা উচিত। নিজে না মানলে, অন্যকে মানতে বলা যায় না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: অর্থাৎ আপাতত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে না!

ড. বিজন কুমার শীল: বিষয়টি সেরকম না। দু’পক্ষ থেকেই একটু সাবধানতা অবলম্বনের বিষয়ে ভাবা হয়েছে।  রিএজেন্টগুলো হাতে পেলে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পদ্ধতির স্যাম্পল রেডি করে স্যাম্পলসহ পুরো নিম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমি চাই, পদ্ধতির স্যাম্পলটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে। বিষয়টি আমাদের জন্য অন্যরকম আনন্দের হবে।

সারাবাংলা: কাজ কতদূর এগিয়েছে?

ড. বিজন কুমার শীল: স্যারের কাছে (ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) আপনি নিশ্চয় শুনেছেন, এখন পর্যন্ত রিএজেন্টগুলো আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। আগামী সপ্তাহে ওগুলো আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। তবে এদিকের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। টিমের সবাইকে নিয়ে রাত-দিন ল্যাবরেটরিতে কাজ করছি। আমরা চাচ্ছি করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সর্বোপরি বাংলাদেশে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, সেটি থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।

সারাবাংলা: কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা এসেছে কি?

ড. বিজন কুমার শীল: কাজ করতে গেলে বাধা আসেই। সমালোচনাও হয়! এসব কিছু মেনে নিয়েই কাজ করতে হয়। আমরা চাচ্ছি ভালো কিছু করতে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের (মিডিয়া) সহযোগিতা খুব প্রয়োজন। আপনারা প্রোডাক্টিভ ও পজিটিভ নিউজ করলে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যায়। কারণ, মিডিয়া যা লেখে, সাধারণ মানুষ তাই বিশ্বাস করে। মিডিয়ার ওপর মানুষের অনেক আস্থা।

সারাবাংলা: বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাটা কী?

ড. বিজন কুমার শীল: আমরা তো স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করে আমাদের এই কিট বিদেশেও সরবরাহ করব। তবে সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে মানুষ যেন এই উদ্ভাবনের শতভাগ সুফল পায়, সেদিকে আমাদের বেশি নজর। দেশের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর বিদেশের কেউ এই কিট নিতে চাইলে আমরা তাদেরকে দেবো।

সারাবাংলা: ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আপনার এই উদ্ভাবনকে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ‘পদ্ধতি’ বলছেন, আপনি বলছেন কিট! কোনটা সঠিক?

ড. বিজন কুমার শীল: স্যার (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) যেটা বলছেন, সেটা সঠিক। আবার আপনি এটাকে এখন কিটও বলতে পারেন। আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি, তাতে এটাকে কিটও বলা যায়। আপনারা কিটই বলেন।

সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

. বিজন কুমার শীল: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-

করোনা শনাক্তে ‘গণস্বাস্থ্যে’র রিএজেন্ট আসছে বৃহস্পতিবার

করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের পদ্ধতিকে সরকারের অনুমোদন

কিট নয়, কোভিড-১৯ শনাক্তের পদ্ধতি উদ্ভাবন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের

‘গণস্বাস্থ্যের পদ্ধতিতে’ আগামী এক মাসে ১ লাখ লোকের করোনা টেস্ট!

করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ করোনাভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ড. বিজন কুমার শীল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাক্ষাৎকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর