Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা ইস্যুতে মার্চে ৩১ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই


৩০ মার্চ ২০২০ ১৬:৩৩

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস আতঙ্কে চলতি মার্চে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। মার্চের ১ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পযন্ত ১৮ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এই সময়ে বড় ধরনের দরপতনের কারণে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। একই সময়ে ডিএসই প্রধান সূচক হারিয়েছে ৩৭২ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধব নেমেছে। যার নেতিবাচক প্রভার পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ ছিল। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস আতঙ্কে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছে। পুঁজি হারিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নিঃস্থ থেকে আরো নিঃস্থ হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ আতঙ্কিত হয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি না করা।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। করোনা আতঙ্কে সর্বশেষ ৯ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ মাত্র সাত কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে ৪৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন উধাও হয়েছে। একই সময়ে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৬৮৩ পয়েন্ট।

এই অবস্থায় গত ১৯ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কিছু কারিগরি নির্দেশনা দিয়ে পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক পতনের পথ বন্ধ করে দেয়। বিএসইসির কারিগরি নির্দেশনা অনুযায়ী আগের পাঁচদিনের সূচক ও বিভিন্ন শেয়ারের পতনের মোট পরিমাণকে ৫ দিয়ে ভাগ করে গড় হয়। ওই গড়ের নিচে শেয়ারের দাম আর কমতে পারবে না। এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে করে গত ১৯ মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭১ পয়েন্ট বেড়ে যায। ফলে মাস শেষে ডিএসইর পতনের মাত্রাটা কিছু কমে আছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে চলতি মাসের ১ তারিখ লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মুলধন ছিল ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে মার্চের শেষ লেনদেন দিবস গত ২৫ মার্চ ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে আসে ৩ লাখ ১২ হাজার ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মাত্র ১৮ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। একই সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইনিডেক্স কমেছে ৩৭২ পয়েন্ট।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

করোনা ডিএসই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর