স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘পিপিই’ দেবে বিজিএমইএ
৩০ মার্চ ২০২০ ১৯:১৬
ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই সরবরাহ করবে সংগঠনটি। সোমবার (৩০ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ এসব জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বিজিএমইএ’কে পিপিই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে। এ মুহূর্তে বিতরণের উদ্দেশে বিজিএমইএ প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার পিপিই পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো প্রথম স্তরের পিপিই (লেভেল-১) এর পরিপূরক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার ও কর্মীদের প্রয়োজন লেভেল ৩/৪ পিপিই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের কোন ধরনের সুরক্ষা নেই, তাই বিজিএমইএ নিজেদের সম্পদ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছে। পিপিই এর ফেব্রিক্স ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজিএমইএ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা’র মহাপরিচালকের (ডিজিএইচএস) কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে। ডিজিএইচএস বিজিএমইএ’র প্রস্তাবিত পিপিই-কে লেভেল-১ পরিপূরক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বিজিএমইএ’র অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক্স দানে এগিয়ে এসেছে। এছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব স্ব কারখানায় বিনামূল্যে পিপিই তৈরি করার বিষয়ে বিজিএমইএ’কে প্রস্তাবনাও দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ পরিকল্পনা নিয়েছে এসব ফেবিক্স ক্রয়ের জন্য একটি তহবিল গঠন করার বিষয়ে।
পিপিই প্রস্তুত করতে যে ফেব্রিক্স ব্যবহার করা হয়, তার মেডিক্যাল গ্রেড থাকে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান বজায় রেখে তা প্রস্তুত করতে হয় এবং এই ফেব্রিক্স মূলত চীন থেকে আমদানি করতে হয়। আবার, পিপিই পোশাক তৈরির জন্য কারখানাগুলোকে বিশেষ ধরনের মেশিনারিজ ব্যবহার করতে হবে। কারখানায় জীবাণুমুক্ত পরিবেশে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এসবের জন্য প্রশিক্ষণও দরকার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি কারখানায় পিপিই তৈরি করার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস অথবা এর অধিক সময় লাগবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিপিই রফতানি করা এবং আমরা চাই, অতি দ্রুততার সঙ্গে এই কাজটি করতে। এ ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে আইএলও, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউএফপি এবং ইউনিসেফসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে আমাদের এই শিল্পের ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগবে রফতানি উপযুক্ত পিপিই বানানোর যাবতীয় কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে এবং প্রয়োজনীয় মেশিন ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র হাতে পেতে।