করোনাভাইরাস: অভিযান চালাচ্ছে নৌপুলিশও
৩০ মার্চ ২০২০ ১৮:২০
ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নৌপুলিশও রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চালিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ও জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়। এছাড়া নৌযান স্টাফদের মধ্যে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ডেটল, লিকুইড সাবান ও ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করা হয়, যেন তারা এগুলো ব্যাবহার করে নিরাপদ থাকতে পারেন।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাজধনীর সদরঘাট এলাকায় এসব স্প্রে ও বিতরণ করেন নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম।
এছাড়াও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আশপাশের এলাকা এবং বাবুবাজার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় ১০ হাজার লিটার ব্লিচিং মেশানো পানি স্প্রে করা হয়। গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু প্রতিদিন দুই বেলায় ২০ হাজার লিটার জীবাণুনাশক তরল পদার্থ স্প্রে করা হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় এ পর্যন্ত এক লাখ লিটার জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশ।
কোভিড-১৯ বা নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ডিআইজি নৌপুলিশের কার্যালয়ের সামনে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে হাতিরঝিল সংলগ্ন এলাকাতেও সকাল-বিকেল দুই ঘণ্টা করে করোনা জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে চলাচলরত যানবাহনে। এছাড়াও নৌপুলিশ অফিস ও স্টেশনের আশপাশের এলাকাতেও জীবাণুনাশ স্প্রে করা হচ্ছে।
এদিকে, নৌপুলিশ সদস্য (২০০০) ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক অ্যান্টিসেপটিক সোপ, ফ্লোর ক্লিনার, লিকুইড সোপ, ব্লিচিং পাউপার ও পটাশ অ্যালাম বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব পণ্য ব্যবহার করে কিভাবে জীবাণুমুক্ত থাকা যায়, সে বিষয়গুলোও নৌপুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিআইজি আতিকুল ইসলাম বলেন, যখন হেক্সিসল বা অন্যান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, তখন এগুলোকে আমরা জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। নৌপুলিশ সদর দফতর, আটটি অঞ্চল অফিসসহ সব নৌপুলিশ স্টেশনে এগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।