করোনায় বন্ধ গণপরিবহন, সংকটে শ্রমিকরা
৩০ মার্চ ২০২০ ২০:১৮
ঢাকা: মাত্র কয়েকদিন আগেই চালু হওয়া দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ফাঁকা পড়ে আছে। গণপরিবহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় রাস্তায় নেই কোনো বাস। ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যেতে কেবল দেখা যাচ্ছে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া গাড়ি। সড়কটি এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার পর মিনিটে মিনিটে গাড়ি চলাচল করত। এখন সেটি খাঁ খাঁ করছে।
https://www.facebook.com/Sarabangla.net/videos/251488782654887/
একই অবস্থা দেশের অন্যান্য সড়কেও। ফলে সংকটে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় দেশের সাত লাখ বাস শ্রমিকের জন্য রেশন দাবি করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী জানান, সারাদেশে কমপক্ষে ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে কেবল বাস শ্রমিকই ৭ লাখ; যারা দিন আনে দিন খায়। এদের রেশনের দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ জানান, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরাও বিপাকে। করোনার কারণে যানবাহন না চলায় ব্যাংক ঋণের কেনা গাড়ির কিস্তির টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন- সেই চিন্তায় পড়েছেন।
‘এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’- বলেন শুভঙ্কর ঘোষ।
শুভঙ্কর ঘোষের মালিকানাধীন শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের প্রায় এক হাজার বাস বহর রয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে গণপরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে গণপরিবহনে লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর থেকেই সারাদেশ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
সাধারণ ছুটির পঞ্চম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আগে যেসব মোড়ে বাসের জটলা লেগে থাকত সেখানে এখন দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে। কোনো সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বের হয়ে কেউ কেউ আবার ফিরে যাচ্ছেন ঘরে। মোড়ে মোড়ে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।