Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সচেতন হয়েছি বলেই আমাদের অবস্থা খুব খারাপ নয়’


৩১ মার্চ ২০২০ ১০:৩০

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন হয়েছি বলেই তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আমাদের অবস্থা খুব খারাপ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করছি।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সাধারণ ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর বড় কর্তব্য মনে করেছি, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। সেটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। যেন সবাই নিরাপদে থাকেন।’

‘চীনের উহান থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হলো, তাদের কোয়ারেনটাইনে রাখা হলো। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলো, পরে অনেকেই চলে এলো। তাদের মধ্যে অনেকে সংক্রমিত। তাদের আলাদা রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলো। এরপর পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ বন্ধ করেছি। এই ভাইরাসের কারণে ২০ জনের মতো সংক্রমিত হলো, ৫ জনের অবস্থা খারাপ ছিল। তারা বয়স্ক, নানা রোগে আক্রান্ত ছিল। তখন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করলাম। সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের জীবন যেন স্তব্ধ না হয়, সে জন্য ব্যাংক কিছু সময় খোলা রাখা, কাঁচাবাজার চালু, পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা সবকিছুই সাধারণ মানুষের জন্য সীমিত আকারে চালু রেখেছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- পিপিই’র সংকট নেই, প্রয়োজন বুঝে ব্যবহারের নির্দেশনা

বিজ্ঞাপন

অনেক উন্নত দেশকেও দেখছি, সংক্রমিত হচ্ছে। দুর্ভোগ বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছোট দেশ, বিশাল জনসংখ্যা। আমরা সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছি। সবাই যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেছে বলেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সারাবিশ্বে এখনও রয়েছে। এখনো আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। তাই করোনাভাইরাস ঠেকাতে সচেতন থাকা দরকার।’

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) কাজ করছে। শুধু ঢাকা নয়, বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছি। লুকোচুরি নয়, লুকোচুরি করলে নিজেই নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবেন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন থেমে থাকবে না, চলবে। সেদিকে লক্ষ রেখে কাজ করতে হবে। তারপরও জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেটা করতে গিয়ে মানুষকে কষ্টও দেওয়া যাবে না।’

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এছাড়া সচিবালয় প্রান্তে যুক্ত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।  একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সচিবালয় প্রান্তে।

আরও পড়ুন-

‘করোনাকালে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় নয়’

বৈশাখে লোক সমাগম নয়, ডিজিটালি অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

করোনাভাইরাস প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সচেতন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর