Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এডিসের ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে সতর্ক থাকতে হবে’


৩১ মার্চ ২০২০ ১৮:২৮

ঢাকা: চলতি বছর জরিপের ফলাফলে এডিস মশার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শানিলা ফেরদৌসি।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে ‘ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে বিশেষ সেবা মাস-এপ্রিল ২০২০’র জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ডা. শানিলা বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় বর্ষা পূর্ববর্তী এডিস মশার ঘনত্ব জরিপের কাজটি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এই জরিপটি হয় গত ৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৪ মার্চ পর্যন্ত ১০দিন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডে ১০০টি স্থানে ২ হাজার ৯৯৬টি বাড়িতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ৫৬টি ওয়ার্ডে শূন্য। ৪৪টি ওয়ার্ডে ১০ থেকে ১৩ দশমিক ৩ এর মধ্যে। যেখানে ইনডেক্সে ২০ এর বেশি ঘনত্ব হলে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। সে হিসেবে জরিপের ফলাফলে এডিস মশার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সকালে কোভিড ১৯ মোকাবিলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে প্রস্তুতির দিক নির্দেশনা দিয়েছে। সেইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে বরাবরের মতো এবারও প্লাস্টিকের ড্রাম, বালতি, পানির মিটারের গর্ত, নির্মাণাধীন ভবনের মেঝেতে জমানো পানি, পরিত্যাক্ত খেলনা, প্লাস্টিকের কাপ, খাবার শেষে ফেলে দেওয়া প্যাকট ইত্যাদিতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই এখন থেকেই আমাদের সতর্ক হতে হবে।’

এই পরিচালক আরও বলেন, ‘সবাই মিলে নিজ নিজ বাসা, বাড়ির ছাদ, ছাদের বাগান এবং চারপাশ পরিষ্কার করি ও অন্যদের উৎসাহিত করি। ঘুমানোর সময় পরিবারের সব সদস্যদের মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করি। এছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে একটি অ্যাপস পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ডেঙ্গু পরিস্থিতির সার্বিক সংবাদ যেমন- সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তালিকা ও সেবা নেওয়া রোগীর তালিকা, মশক জরিপের ফলাফল, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও নিকটবর্তী হাসপাতালের তথ্য ও মশক প্রজনন নিধন কার্যক্রমের তালিকা থাকবে। পর্যায়ক্রমে এটি দেশের সব হাসপাতাল ও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’

সংবাস সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যালেরিয়া এবং এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজেজ এর ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আফসানা আলমগীর বলেন, ‘আমাদের ২২টি টিম এটা নিয়ে কাজ করেছে। ৭২টি বাসায় এডিস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৬, ১৮, ২৮, ৪১ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস পাওয়া গেছে। এতে আমাদের খুশি হলে চলবে না। কারণ মৌসুম আসছে সামনে। শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন নয়, নিজেদেরই এখন থেকে সচেতন হতে হবে। নিজেদের আশপাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।’

নিমার্ণাধীন বাড়িগুলোতে সবচেয়ে বেশি এডিসের লার্ভার ঘনত্ব পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়।

এডিস মশা ঘনত্ব সচেতন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর