করোনা: জেনারেল হাসপাতালের সংকট মেটানোর আশ্বাস নওফেলের
৩১ মার্চ ২০২০ ২০:১৬
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবলের অপ্রতুলতার বিষয় উপমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। উপমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জরুরিভিত্তিতে কিছু সংকট মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। ন্যূনতম সুযোগের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ারও নির্দেশ দেন উপমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ উপমন্ত্রীকে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
হাসপাতালের ১০০ শয্যাকে করোনা সন্দেহভাজন ও আক্রান্তদের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে। দুজন সন্দেহভাজন রোগী বর্তমানে ওই হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন।
অসীম কুমার নাথ সারাবাংলাকে জানান, উপমন্ত্রীকে হাসপাতালে স্থাপন করা দুটি ফ্লু কর্নার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি জরুরি ফ্লু কর্নার। এছাড়া আইসোলেশন ইউনিটও দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আমাদের কোনো আইসিইউ বেড নাই। ভ্রাম্যমাণ এক্সরে মেশিন নাই। অথচ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই দুইটা সরঞ্জাম খুবই জরুরি। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগী আসা শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জনবলও আমাদের নাই। এসব বিষয় আমরা উপমন্ত্রী স্যারকে জানিয়েছি। তিনি সব শুনেছেন এবং ঢাকায় গিয়ে আমরা যাতে কিছুটা সুযোগ-সুবিধা বাড়তি পাই, সেটার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আইসিইউ’র সমস্যা আছে। ভেন্টিলেশনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তো আইসিইউ দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমি চেষ্টা করব। উনারা বলেছেন, বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালের আইসিইউ বুকিং দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সমস্যার কিছুটা সমাধান তো হবে। পিপিই সংকট আছে। আমি ঢাকায় গিয়ে সংগ্রহ করে কয়েকটা পাঠাব। প্রধানমন্ত্রী এই হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার আলোকে কিছু মিডলেভেলের ডাক্তার, ইর্মাজেন্সি ডাক্তার এবং নার্স জরুরি ভিত্তিতে এই হাসপাতালে দেওয়া যায় কি না সেটা নিয়ে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলব।’
তিনি বলেন, ‘মিনিমাম যে সুবিধা আছে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। করোনা আক্রান্ত রোগী এলে যাতে তারা বিদ্যমান সুবিধার সর্বোচ্চটা পান, সেটার যাতে কোনো ঘাটতি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমআই