ভিড় সামলাতে না পেরে ত্রাণই ‘দিল না’ পুলিশ
২ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ত্রাণ দেওয়ার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম নগরীর একটি থানায় ভিড় করেছিল বেকার হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের ও হতদরিদ্র কয়েকশ মানুষ। তাদের ভিড়ে শেষপর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হয়নি। ত্রাণ না পেয়ে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে নগরীর বন্দর থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
এর আগে, সিএমপির দক্ষিণ জোনের পক্ষ থেকেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে বেকার হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে একইভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। তবে সেখানে লোকজনকে ডাকা হয়নি। উদ্বোধনের পর ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাসায়-বাসায়।
কিন্তু বন্দর জোনের ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি আগেভাগে প্রচার হয়ে যাওয়ায় বিপত্তি বাঁধে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকেই বন্দর থানার সামনে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। একপর্যায়ে কয়েকশ মানুষের ভিড় লেগে যায়।
সিএমপি কমিশনার উদ্বোধনের পর তাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এরপর বেলা ১২টার দিকে ঘোষণা দেওয়া হয় কাউকে সরাসরি ত্রাণ দেওয়া হবে না। তখন লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকে ত্রাণ বিতরণের কোনো ঘোষণা দিইনি। এটা আমাদের পরিকল্পনায়ও ছিল না। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, কমিশনার স্যার আমাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে চলে যাবেন। এরপর রাতে আমরা মানুষের বাসায়-বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দেব। কিন্তু অবাকের বিষয় হচ্ছে হঠাৎ করে শত, শত লোক থানায় এসে হাজির হন। তারা কীভাবে খবর পেলেন আমরা জানি না।’
কয়েকশ মানুষের ভিড়ে পুলিশের সামনেই সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধও ভেঙে যেতে দেখা গেছে। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন নগর পুলিশের কর্মকর্তারাও।
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বন্দর থানায় মানুষের ভিড় হলেও পুলিশ দ্রুত সরিয়ে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুলিশ নগরীর সব থানা এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। আমরা জনসমাগম কোনোভাবেই অ্যালাউ করছি না।’