এসএমই খাতের জন্য জরুরি তহবিলের আহ্বান ডিসিসিআই’র
৩ এপ্রিল ২০২০ ১৮:২১
ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের কোনো প্রভাব যেন না পড়ে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সরকার অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ডিসিসিআই প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী ও অর্থনীতিবান্ধব গৃহীত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। একই সাথে রফতানিমুখী শিল্প সুরক্ষায় শ্রমিকদের বেতনাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করায় ডিসিসিআই বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
এতে বলা হয়, অর্থনীতির সব স্তরে এমএসএমই’র অর্ন্তভুক্ত সকল খাত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের অনেকেই সময়মত শ্রমিক এবং কর্মচারীদের বেতনা পরিশোধ করতে পারছে না যা বেকারত্ব বৃদ্ধির আশংকা তৈরি করেছে। এ দুঃসময়ে ঢাকা চেম্বার সরকারকে স্থানীয় এমএসএমই’র ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা ও এমএসএমই সুরক্ষায় স্বল্প এবং মধ্য মেয়াদি আর্থিক, অনার্থিক নীতিপরিকল্পনানির্ভর সহায়তা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া এমএসএমই এবং অপ্রচলিত খাতের সুরক্ষায় বেতনাদি পরিশোধের সুযোগ করে দিতে ডিসিসিআই সরকারকে ১ শতাংশ সুদে ৩ বছর মেয়াদি একটি জরুরি তহবিল গঠন করতে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছে। এই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এমএসএমইর জন্য ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া যেতে পারে।
তহবিল গঠনের দাবি জানিয়ে বলা হয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমএসএমই’র জন্য প্রদত্ত ঋণের সুদ আগামী ১ বছরের জন্য মওকুফ করার আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই। পাশাপাশি ডিসিসিআই এমএসএমই’র অর্থায়ন সহজলভ্য করতে স্বল্প সুদে এবং সহজতর জামানত শর্তে বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন (এসএমই রিফিন্যান্সিং) তহবিলকে পূর্ব-অর্থায়ন (এসএমই প্রিফিন্যান্সিং) তহবিলে রুপান্তরের সুপারিশ করছে। পাশাপাশি কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত সীমিত দায়বদ্ধ কোম্পানিসমূহকে ব্যাংক গ্যারান্টির শর্তকে আগামী ছয় মাসের জন্য শীথিল করতে ডিসিসিআই আহ্বান জানাচ্ছে।
এসবের পাশাপাশি ডিসিসিআই আগামী ছয় মাসের জন্য এসএলআর হ্রাস এবং এডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) অর্থাৎ আমানতের বিপরীতে ঋণ প্রদান করার হার শিথিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিও আহ্বান জানিয়েয়ে ডিসিসিআই।
তাছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত এমএসএমই’র ওপর করের বোঝা লাঘব করতে তাদের ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর জমাদান এ বছর স্থগিত রেখে তা আগামী তিন বছরে সমান তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে রিটার্নের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জরিমানা ছাড়া প্রদান করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এমএসএমই’কে সহায়তার অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক ভাড়া, বিদুৎ, গ্যাস ও পানির বিল এবং লাইসেন্স নবায়নের উপর প্রযোজ্য ভ্যাট আগামী ছয় মাসের জন্য মওকুফ করা যেতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।