ত্রাণ বিতরণে অধিকতর জমায়েত নয়: ওবায়দুল কাদের
৪ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৪৬
ঢাকা: ত্রাণ বিতরণের সময় অধিকতর জমায়েতের মতো বিপজ্জনক পথ বেছে না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার জন্য বলেছেন তিনি। শনিবার (৪ এপ্রিল) তার সরকারি বাসভবনে এ সব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারাবিশ্বে করনো পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এযাবৎ বিশ্বে ১১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। এযাবৎ ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের দেশ তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছে। ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের মতো দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা সেই তুলনায় আল্লাহর রহমতে আমরা অনেক ভালো আছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা মেনে আমরা সবাই এক যোগে সঙ্গবদ্ধভাবে এই অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করে চলছি। ঘরে আমরা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে সুরক্ষিত থাকবো, বাইরে অদৃশ্য শক্তি করোনা এই অদৃশ্য শত্রুকে ঘরে ঘরে মোকাবিলা করতে হবে। ঘরে ঘরে সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্গ গড়ে তুলতে। কোনো অবস্থাতেই শঙ্কিত হওয়া চলবে না। আমাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে যেয়ে যেন অধিকতর জমায়েতের মতো বিপজ্জনক পথ বেছে না নিই। কোনো অবস্থাতেই জমায়েত করা যাবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসন সেনাবাহিনী পুলিশ র্যাবসহ নিয়ন্ত্রককারী সংস্থাকে সাহায্য করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে আহ্বান সুদিনের প্রত্যাশায় সাময়িক কষ্ট ও ত্যাগ মেনে চলতে হবে। দেশবাসী যাতে নিজেদের ভালোর জন্য সুদিনের আশায় সাময়িক ত্যাগ স্বীকার করবেন। এ অবস্থা মেনে আমরা যদি এগিয়ে যাই হয়তো অচিরেই দেশের অবস্থা আরও ভালোর দিকে যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিয়ম-কানুন মেনে চললে অবশ্যই আমরা এই মহাসংকট থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব। নিজেদের জীবন জানমাল রক্ষ করতে পারব।’
তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ, যাত্রী সাধারণ, পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগতির জন্য জানাচ্ছি ইতোপূর্বে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জন স্বার্থ বিবেচনায় আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সকল প্রকার যানবাহন চলাল বন্ধ রাখার অনুরোধ করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে যানবাহনের ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স উত্তীর্ণ হলে জরিমানা ছাড়াই নির্ধারিত ফি ও কর দিয়ে ৩১ জুন পর্যন্ত ফিটনেস নবায়ন ও লাইসেন্স আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সকলকে এসক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি জরুরি সার্ভিসের আওতায় পণ্যবাহী ট্রাক, ওষুধ, জ্বালানি, পচনশীল দ্রব্য ত্রাণবাহী গাড়ী অ্যাম্বুলেন্স নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলেও জানিয়ে দেন। তবে কোনো অবস্থাতেই পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না বলে জানান।