লকডাউনের সুযোগে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করলো বিএনপি নেতা
৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪২
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): কুয়াকাটায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার জমিতে ঘর তুলে জায়গা দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও লকডাউনের সুযোগে রাতারাতি ওই জমিতে ঘর তুলেছেন লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মতি।
শনিবার (৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে আদালতের নথিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী (কুয়াকাটা) ইউনিয়নের আলীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সত্তার ফরাজীর জমিতে জোরপূর্বক রাতারাতি ৭/৮টি ঘর তোলা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চলমান লকডাউনের সুযোগে সেখানে ঘর তুলেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান ও তার দলবল।
এর আগে, গত ২২ মার্চ পটুয়াখালী যুগ্ম জলা জজ আদালত-১ থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত জমিতে কোনোপ্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার পরিবর্তনসহ পুরনো নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়িয়ে বাদি ও বিবাদির প্রতি আদেশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের স্থিতি আদেশের তোয়াক্কা না করে মামলার বিবাদিরা পরস্পর যোগসাজসে বাদি কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর সত্তার ফরাজীকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে জমিতে ঘর তোলে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সত্তার ফরাজীর ছোটভাই মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি কালাম ফরাজী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবাই যখন ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ রেখেছে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি দখলে তৎপর হয় বিএনপি নেতা মতিউর রহমান ও তার দলবল। এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরারব লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা দখলদারদের সহযোগিতা করছে।’
তবে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘর তোলায় সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে কেউ ঘর তোলেনি। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।