মার্চে মূল্যস্ফীতিতে লাগেনি করোনাভাইরাসের ধাক্কা
৪ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫১
জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েনি এখনো। কেন না এ প্রতিবেদ তৈরি করা হয়েছে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বাজারের অবস্থা পর্যালোচনা করে। সেসময় দেশে করোনাভাইরাসের কারণে তেমন কোনো প্রভাব ছিল না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। শনিবার (৪ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এসময় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া খ্যাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গ্রামে সার্বিক মূল্যষ্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এসময় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শনিবার (৪ এপ্রিল) সারাবাংলাকে জানান, মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতিতে করোনার প্রভাব পড়েনি। বিবিএস সবসময় মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত বাজারের অবস্থা বিশ্লেষণ করে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। সুতরাং মার্চ মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত বাজারে অবস্থার প্রতিফলন উঠে এসেছে এই হিসাবের মধ্যে। তবে এপ্রিল মাসের সিপিআই (কঞ্জুমার প্রাইস ইনডেক্স) প্রতিবেদনে করোনার প্রভাব পাওয়া যাবে।
সারাবাংলা/জেজে/এমআই