একটা মৃত্যুও কাম্য নয়: প্রধানমন্ত্রী
৫ এপ্রিল ২০২০ ১০:২২
ঢাকা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
রোববার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণাকালে শেখ হাসিনা এই সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ৭০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। যারা মারা গেছেন তাদের বয়স ৭০ এর বেশি। আগে থেকেই তারা নানা রোগে ভুগছিলেন। তারপরও একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চীনে ভাইরাসটি দেখা দেওয়ার পর আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। আইইইডিসিআরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংক্রামণ রোগ নিয়ন্ত্রণে পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে প্রিপায়ের্ডনেস গাইডলাইন করা হয়। জানুয়ারি থেকে তিনস্তরের কার্যক্রম আমরা হাতে নিই। সব বন্দরে বিদেশ প্রত্যাগত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করা হয়। সন্দেহভাজনদের কোয়ারেনটাইন করা হয়। যারা সন্দেহজনক ছিলেন না তাদের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা জাতীয় কমিটি করেছি। ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করা হয়েছে যাতে মানুষ সুরক্ষিত থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি। শিল্প-কারখানা, বিপণী বিতান বন্ধ করা হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করায় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, এই লকডাউনের ফলে শিল্প উৎপাদন, রফতানি, সেবা খাত, পর্যটন, সরবরাহ ও চাহিদার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
বিশ্ব পুঁজিবাজারে কয়েক সপ্তাহে ২৮ থেকে ৩৪ শতাংশ দরপতন ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।