গার্মেন্টসমুখী শ্রমিকদের ‘ঢলে’ মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ
৫ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪৭
ঢাকা: গার্মেন্টস খোলা-বন্ধের ‘খেলায়’ পড়ে ঢাকামুখী শ্রমিকদের ঢল দেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যেভাবে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকায় এসে তাদের নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলেছেন।
রোববার (৫ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ এক ই বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়, এর দায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এড়াতে পারেন না। তাদের দায়িত্বশীল আচরণের অভাবেই গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে আসছেন। মানবাধিকার কমিশন সবার কাছে দায়িত্বশীল আচরণ কামনা করে।
বার্তায় বলা হয়, করোনা এখন বৈশ্বিক মহামারি। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য সরকার বিভিন্ন অনুশাসনসহ গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমজীবীরা ছুটির আমেজ নিয়ে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় না রেখে গাদাগাদি করে শহর ছাড়তে থাকেন যা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনগণ যাতে ঘরে থাকেন, সে লক্ষ্যে সরকার এই সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে। কিন্তু এই বর্ধিত ছুটির বিষয়ে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ থেকে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে।
সংবাদ মাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের জনস্রোত সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোন পরোয়াই করেনি। এর ফলে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির প্রত্যাশিত ফলাফল পুরোটাই এখন শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিক-কর্মচারীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলায় মালিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সংকটকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল এবং মানবিক আচরণ করতে কমিশন অনুরোধ জানায়।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব নিয়ম অনুসরণ করার জন্যও আহ্বান জানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
করোনাভাইরাস গার্মেন্টস শ্রমিক জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার কমিশন