চট্টগ্রামে আক্রান্ত তরুণের অসুস্থতার লক্ষণ নেই, কোয়ারেনটাইনে ৯১
৬ এপ্রিল ২০২০ ১৫:১২
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেলেও চট্টগ্রামে আক্রান্ত তরুণের মধ্যে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ওই তরুণ নগরীতে যে সুপারশপে কাজ করতেন, সেখানকার ৭৪ জন কর্মীকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তার-নার্সসহ ১৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় ২৫ বছর বয়সী তরুণের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দুদিন আগে শুক্রবার তার বাবার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
নগরীর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর ছেলের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রোববার রাতে তাকেও একই হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছেলের মধ্যে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ নেই। আইসোলেশনে থাকলেও তিনি স্বাভাবিক আছেন। আশা করছি, আইসোলেশনের মেয়াদের মধ্যেই তিনি ঝুঁকিমুক্ত হয়ে যাবেন। তার বাবাও সুস্থ হওয়ার পথে। তিনিও আইসোলেশনে থাকলেও ভেতরে হাঁটাচলা করছেন।’
অসীম কুমার নাথ আরও জানিয়েছেন, আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডাক্তার-নার্সসহ ১৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) থেকে তাদের নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ে লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আক্রান্ত তরুণ নগরীর খুলশীতে দ্য বাস্কেট নামে একটি সুপারশপে কাজ করতেন। ওই সুপারশপের দুই শিফটে ৭৪ জন কর্মী তার সংস্পর্শে এসেছেন। এর মধ্যে ১৪ জন একেবারে নিবিড় সংস্পর্শে এসেছেন। তাদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার বিষয়টি তদারক করবে।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই