Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনা ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না’


৬ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৩৩ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২০ ২০:১৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর রোগ ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না।

সোমবার (৬ এপ্রিল) মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি এক সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানিকগঞ্জে একটি মাদরাসায় একসঙ্গে ২৮ জন ওঠাবসা করেছিল। তাদের কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব জায়গায় এভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে তো জায়গা দিতে পারবো না। এটা তো রোগ সেটা বুঝতে হবে। রোগ কাউকে ছাড়বে না।‘

বিজ্ঞাপন

পোশাক কারখানা খোলা রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ, বিকেএমইএ বিষয়গুলো দেখবে। আমরা যদি ইচ্ছে করে সংক্রমণ বাড়াই, সেটা তো বলতে হবে। আগামীতে যাতে এমনটা না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে জাতীয় কমিটির প্রধান করা হয়েছে কিন্তু কখন কারখানা খুলবে, মসজিদ খোলা থাকবে কিনা এসব বিষয়ে জাতীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয় না। স্বাস্থ্যবিষয় ছাড়া আমার সঙ্গে কোনো কিছু আলোচনা হয় না। আমি সাংবাদিকদের জবাব দিতে পারি না।’

আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি, তাদেরকে সদুত্তর দিতে পারি না বলে দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু দেশে না বিদেশ থেকেও অনেক সাংবাদিকরা আমার কাছে জানতে চায়। আমি এ কমিটির প্রধান হয়ে কেন এ বিষয় জানি না সে দোষ দেওয়া হয়। আমি সচিব সাহেবকে বলেছি, এ বিষয়ে আলোচনা করে আমাদের কাছে থেকে সিদ্ধান্ত না নিলেও অন্তত পরামর্শ করতে পারেন। তাহলে আমরা আমাদের মতামতটা দিতে পারি।’

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন দেশের স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধিরা।

সভায় নিমস এর পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ বর্তমান পরিস্থিতে তাঁর উদ্বেগ জানিয়ে এখনই দেশে শক্ত অবস্থান নেবার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর জানান, দেশে সামনে কঠিন সময় আসছে। এখনই পুরো দেশে লক ডাউন করা জরুরি। এখনই পুরো দেশ লক ডাউন না করা হলে এই ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার অনুরোধ জানান। সভায় চিকিৎসক পরিষদের নেতারা চিকিৎসদের সুবিধা বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার কথা শোনেন ও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ, নিমস এর পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতাসহ অন্যন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাস রোগ সংক্রমণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে জায়গা