কোভিড-১৯: শহুরে দরিদ্রদের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা
৭ এপ্রিল ২০২০ ২১:২৩
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা বিভাগ (ডিএফআইডি) এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) কোভিড-১৯ মহামারির সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় ৫০ হাজার অতি শহুরে দরিদ্র পরিবারের তাৎক্ষণিক দুর্দশা কমাতে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের জরুরি খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করছে।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এক বার্তায় জানানো হয়, এই জরুরি সহায়তার উদ্যোগটি ইউএনডিপি’র নগর দরিদ্র সম্প্রদায়ের জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পের (এলআইইউপিসিপি) অধীনে গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শহুরে দারিদ্র্য হ্রাস করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ডিএফআইডি এবং ইউএনডিপি একটি যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
ডিএফআইডি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি জুডিথ হারবার্টসন বলেন, কোভিড-১৯ এর মতো একটি বৈশ্বিক সঙ্কটে শহুরে দরিদ্র এবং অসুরক্ষিত মানুষের কাছে অতি দ্রুত সহায়তা পৌঁছানো অবশ্যই চ্যালেঞ্জপূর্ণ। আমি অত্যন্ত খুশি যে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথভাবে ডিএফআইডি এত তাড়াতাড়ি সাড়া দিতে সক্ষম হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউন ও প্রাত্যহিক উপার্জন বন্ধ হওয়ার ফলে বিপুল সংখ্যক শহুরে দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে । নগর দরিদ্র সম্প্রদায়ের জীবিকার উন্নয়ন প্রকল্পটি শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে, এই অকস্মাৎ পরিস্থিতির কারণে যাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য খাবার কিনে দেওয়া, হাত ধোয়ার সুবিধা এবং নগদ অনুদানসহ বিভিন্নভাবে পরিস্থিতিটির মোকাবিলায় সাহায্য করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, আমরা এই উদ্যোগের আওতায় জনসাধারণের জন্য সরকারী আইন-শৃঙ্খলা পালন সহজতর করতে চাচ্ছি। যা হল ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে ঘরে থাকা এবং এ অবস্থায় আমরা যৌথ উদ্যোগে দরিদ্র পরিবারের দোরগোড়ায় খাবার সরবরাহ করবো।
তিনি বলেন, ২১ লাখ ৬০ হাজার শহুরে দরিদ্র মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার টার্গেট করেছি আমরা। সময়মতো সহযোগিতার জন্য আমি ডিএফআইডিকে ধন্যবাদ জানাই।
সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর পর্যায়ে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মটি নারী, শিশু, প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের (পিডব্লিউডি) সহ অসুরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কোভিড- ১৯ মহামারিটির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি এবং প্রাথমিক পদক্ষেপের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সুরক্ষার সঙ্গে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি কর্মীবৃন্দ নগরীর দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে হ্যান্ডওয়াশ ও সাবানের হাইজিন প্যাকেজ বিতরণসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
প্রকল্পটি দরিদ্র জনবসতিগুলিতে দুই হাজার ৫৫০টি হ্যান্ডওয়াশিং সুবিধা স্থাপনের কাজও শুরু করেছে এবং ২০টি শহরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সক্ষমতা তৈরিতে কাজ করছে।