উৎপাদন ও বিপণন ঠিক রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ উদ্যোগ
৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন ও বিপণন অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উৎপাদন ও বিপণন ঠিক রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালন করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বসতবাড়ির আঙিনাসহ সব পতিত জমিতে শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য ফসলের চাষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সব কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার প্রভৃতি), খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি/ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ‘সেচ ভবন’ প্রাঙ্গণে কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রয়ের জন্য স্থাপিত প্রতি শুক্র ও শনিবারের ‘কৃষকের বাজার’-এ আসা কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চলাচল অব্যাহত থাকবে। সব কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের চলাচল অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে আউশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপন, সেচসহ অনান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দফতর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কারোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে নিজের এবং কৃষকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সময়ে সময়ে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ত্রাণ সামগ্রীতে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পেতে পারে সে লক্ষ্যে ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণযোগ্য খাদ্যসামগ্রীতে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণযোগ্য ত্রাণসামগ্রীতেও নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।