Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেট্রোরেলের রুট অ্যালাইনমেন্টের কাজ বন্ধ, চলছে বাকি ডিজাইন


৮ এপ্রিল ২০২০ ০৮:১৯

ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রোধে ঢাকায় মেট্রোরেলের রুটের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনেক শ্রমিক একসঙ্গে জড়ো করছে না প্রকল্প। এ জন্য রুটের বাকি থাকা ডিজাইন কাজ এখন এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর উত্তরায় ডিপোর ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেই কাজ চলছে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ফার্মগেট থেকে কারওয়ানবাজার পেরিয়ে শাহবাগ মতিঝিলের দিকে যে যে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

https://www.facebook.com/Sarabangla.net/videos/573741306904279/

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এন এ ছিদ্দিক সারাবাংলাকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে রুট অ্যালাইনমেন্টে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে যন্ত্রচালিত কাজগুলো করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে কাজগুলো করা সম্ভব সেগুলো করছি। যেমন ডিপোর ভেতরে স্বাস্থবিধি মেনে কাজ করা যায়। রুট অ্যালাইনমেন্টের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা যায় না। এ জন্য সে জায়গাগুলোতে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’

 ‘যেখানে যন্ত্র কাজ করতে পারে এবং যন্ত্রটা চালানোর জন্য একজন মানুষের প্রয়োজন হয় সেখানে কাজ করছি’ বলেন এম এন এ ছিদ্দিক ।

মেট্রোরেল–রুট ৬ এর একজন কর্মকর্তা জানান, ‘ইনডোর পর্যায়ে এখন কাজ চলছে। বাইরের কাজগুলো স্থিমিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আর্কিটেকচারাল একজন আর্কিটেক্ট বসে করেন এবং তাকে আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজ করেন এ ধরনের কাজ চলছে।’

এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেল এমডি এমএন সিদ্দিক  বলেন, আগে আমাদের ডিজাইন হতো একদিকে আর কাজ চলতো আরেকদিকে সমানতালে। এখন ডিজাইনের কাজটি আমরা এগিয়ে নিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, উত্তরা-কমলাপুর মেট্রোরেল রুটের  মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা জাপানে আছেন। বাকি সবাই দেশেই আছেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট অথাৎ পাটাতন বসানোর গার্ডার তোলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পিছিয়ে পড়া কাজ কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে সে বিষয় ঠিক করা হবে বলেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মেট্রোরেল প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী জুন মাসে প্রথম ট্রেন সেট দেশে আসবে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) তার সাথে মিলে চলতে পারছে কি তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে। এভাবে একটা একটা করে ট্রেন আসবে। প্রতি সেট ট্রেন আসার পর এভাবে ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।

এরপর ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে প্রথম মানুষ মেট্রো ট্রেনে উঠবে। একেকটি কোচে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী যেতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ যাত্রী যাবেন দাঁড়িয়ে সে ধরনের ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতরে। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের পাশাপাশি হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনে ৬ টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি সবগুলোতে নারী পুরুষ একসঙ্গে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশের মেট্রোরেলগুলো হবে চালকবিহীন। এগুলো রিয়েলটাইমের সঙ্গে চলবে। তবে প্রথম দিকে কিছুদিন একজন চালক রাখা হবে। প্রতি চারমিনিট অন্তর অন্তর উত্তরা থেকে কমলাপুর ট্রেন চলতে থাকবে।

ডিমএটিসিএল জানায়, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সাড়ে ২১ কিলোমিটার হবে। উত্তরা কমলাপুরসহ ১৭টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে উত্তরা সেন্টার, বিজয় সরণী ও মতিঝিল স্টেশন হবে আইনকনিক স্টেশন। বাকিগুলো সাধারণ স্টেশন থাকবে।

করোনা সংক্রমণ ডিএমটিসিএল ডিজাইন মেট্রোরেল

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর