ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় নবীন আইনজীবী ও সমস্যাগ্রস্ত আইনজীবীদের অর্থ সহায়তা দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। এছাড়া বার কাউন্সিলের রিলিফ ফান্ড থেকে এ অনুদান দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রবীণ আইনজীবী এ দাবি করেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসে পুরো দেশ লকডাউন হয়ে গেছে এবং আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় দেশের সকল বারে যেসব আইনজীবী অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন তাদেরকে এককালীন অনুদান দেওয়ার জন্য বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলাম তখন বিভিন্ন দুর্যোগের সময় আমরা বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে অনুদান দিয়েছি। বার কাউন্সিলের একটি রিলিফ ফান্ড রয়েছে। এছাড়া বার কাউন্সিল ইচ্ছা করলে আইনজীবীদের কাছ থেকে এককালীন অর্থ গ্রহণ করে নবীন ও সমস্যাগ্রস্ত আইনজীবিদের এই দুর্যোগের মুহূর্তে এককালীন সহায়তা দিতে পারে।’
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে স্থবির হয়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সহ দেশের সকল আদালত দীর্ঘ ছুটির মুখে পড়েছে। এতে নবীন আইনজীবীরা অর্থনৈতিক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। এজন্য আমরা চাচ্ছি দেশের বিভিন্ন বারে একটা অনুদান দেয়া হোক। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা আইনজীবী সমিতির ঠিক করবেন কাদের অনুদান দেয়া প্রয়োজন।’
এর আগে গত ৪ এপ্রিল মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় জুনিয়র আইনজীবীদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনার আবেদন করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আবেদনে তিনি বলেছেন, আইন পেশায় ৫৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি নিয়োজিত আছেন। তার মধ্যে একটি অংশ জুনিয়র হিসেবে কাজ করছে। সাধারণত সিনিয়রদের প্রতিদিনের দেওয়া অর্থই তাদের একমাত্র অবলম্বন। আদালত বন্ধ থাকায় তারা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ ছাড়া জুনিয়রশিপ শেষ করে যারা নিজস্ব প্রাকট্রিস শুরু করেন তাদেরকেও কয়েক বছর সামান্য আয় দিয়ে চলতে হয়। দীর্ঘ দিন কোর্ট বন্ধ থাকায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।