Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খোলা প্রায় ৫০টি কারখানা, বেতন হয়েছে শতাধিকে


৮ এপ্রিল ২০২০ ২২:৪৩

ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে এখনো দেশের প্রায় ৫০টি পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। একইসঙ্গে রয়েছেন উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগে। সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির অজুহাত দেখানো হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাদের নিয়মিত পণ্য তৈরির কাজ চলছে।

এদিকে, সারাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কারখানায় শ্রমিকদের মার্চ মানের বেতন দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো কারখানায় বুধবার (৮ এপ্রিল) শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টও খোলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখনো প্রায় ৫০টি পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর এলাকায় খোলা রয়েছে ২৫টি কারখানা।

এছাড়া আশুলিয়া-সাভার, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় খোলা রয়েছে প্রায় ২৫টি কারখানা। বুধবার গাজীপুরে খোলা থাকা বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ২৫টি কারখানার তালিকা সারাবাংলার হাতে এসেছে।

কারখানাগুলো হল- জয়নাল নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ফ্যাশন স্টেপ লিমিটেড, ট্রাইজার ল্যান্ড লিমিটেড, সাতাইল, ওনাস অ্যাপারেলস লিমিটেড, বাংজিং বাংলাদেশ লিমিটেড, ওরিয়েন্ট এলিউর লিনগেরি লিমিটেড, ইসলাম নিট ওয়্যার লিমিটেড, ইসলাম ডিজাইন লিমিটেড, ইসলাম গার্মেন্টস লিমিটেড, হরাইজন ফ্যাশন, হ্যাগ নিটওয়্যার লিমিটেড, রোমা ফ্যাশন টুডে লিমিটেড, এস টু এল ফ্যাশন লিমিটেড, কনকর্ড রেইমেন্ট ওয়্যার লিমিটেড, কোস্ট টু কোস্ট গ্রুপ ভাওয়াল কলেজ, দ্যাটস ইট ফ্যাশন (হা-মীম গ্রুপ), আইরিশ ডিজাইন লিমিটেড, স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড, উলেন ওয়্যার লিমিটেড, গ্লাসটো ক্যাটস লিমিটেড, ডেনিস নিট ওয়্যার লিমিটেড, গ্রামী ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড ও অকোটেক্স লিমিটেড।

বিজ্ঞাপন

এসব কারখানার মালিকদের ১০ জনই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত। আর দুজন বিএনপির পরিচিয়ে পরিচিত। বাকিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত নন।

জানা গেছে, গাজীপুরের মাওনার চিটাগাং ডেনিম নামের একটি কারখানা খোলা রয়েছে। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের কারখানা এটি।

ওই কারখানার একজন শ্রমিক সারাবাংলাকে জানান, ২৫ তারিখের পর থেকে কারখানা খোলা। এক ফ্যাক্টরিতে ২০ দিন মাস্ক তৈরি হয়েছিল। এটি দেখিয়ে এখনো আমাদের ঝুঁকির মধ্যে রেখে কারখানা খোলা রেখেছে। অথচ এখানে ডেনিমের কাজ চলছে।

জানা গেছে, সবমিলিয়ে দেশের ১০টির মতো কারখানায় পিপিই ও মাস্ক তৈরির কাজ চলছে। চালু থাকা বাকি কারখানাগুলোয় অন্য ক্রয়াদেশের কাজ বর্তমানে চালু রয়েছে।

এদিকে, ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ-এর ৫১টি কারখানায় বেতন দেওয়া হয়েছে। বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর মধ্যে ছয়টিতে বেতন হয়েছে। অন্যান্য আরও প্রায় ৩০টি কারখানায় বেতন হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত শতাধিক কারখানায় বেতন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ’র একটি সূত্র। আর ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে চায় দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

কারখানা খোলা গার্মেন্টস বন্‌ধ বেতন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর