ঢাকা: করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগে করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে জোট নেতারা এ অভিযোগ করেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতায় উদ্বিগ্নতা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে যুক্ত বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ৩ মাস সময় পার হলেও করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ১ মাস সময় অতিবাহিত হয়ে সংক্রমণ চতুর্থ স্তরে পৌঁছেছে। অথচ করোনা পরীক্ষার স্বল্পতা, ডাক্তারদের পর্যাপ্ত পিপিই’সহ সুরক্ষা আয়োজন না থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভেন্টিলেটরের স্বল্পতা, আইসিইউ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আইইডিসিআর এর বক্তব্যের পার্থক্য এবং তথ্য গোপনের ঘটনা ঘটছে।’
এছাড়াও শ্রমজীবী, নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ করতে না পারার কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে খাবার নেই। ৫ কোটি ইনফর্মাল সেক্টরের শ্রমজীবী মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে বলেও জানান ছাত্রনেতারা।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে ধনী শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের জন্য ৭২,১৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও শ্রমজীবী মানুষের ডিরেক্ট রেশনের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘সরকারি ত্রাণ নিয়ে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা। এছাড়াও গার্মেন্টস মালিকদের মুনাফার শিকার এ দেশের লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক। চা-বাগানে শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। ফলে শ্রমিকরা সেখানে বাধ্য হয়ে কাজ করছে।’
নেতারা ব্যাপক জনসাধারণকে করোনা টেস্টের আওতায় আনা, অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, শ্রমজীবী, কৃষকের জন্য সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ ঘোষণা, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে রেশনিং চালু করার দাবিও জানান। পাশাপাশি দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী গঠন করে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা।