গ্রহীতার পরিচয় গোপন রেখে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তারা
৯ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৫
ঢাকা: বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে দিশেহারা মানুষগুলোর মধ্যে নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা পড়েছেন মহাবিপাকে। তারা না খেয়ে থাকলেও কারও কাছে হাত পাততে পারছেন না। ফলে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছালেও নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না।
এমন বাস্তবতায় গ্রহীতার পরিচয় গোপন রেখে তাদের ঘরে ঘরে ‘উপহার সামগ্রী’ হিসেবে খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ নামের একটি সংগঠন। ভলেনটিয়ারদের মাধ্যমে মহল্লায় মহল্লায় খোঁজ নিয়ে ঘরে ঘরে খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। খাবার সামগ্রীর ব্যাগ দরজার সামনে রেখে গ্রহীতা আসার আগেই সেখান থেকে সরে পড়ছেন তারা।
সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেকেই সরকার বা অন্যান্য সংস্থার ত্রাণ সহায়তা গ্রহণ করতে পারছেন না। অথচ তাদের ঘরে খাদ্য সামগ্রীর প্রচণ্ড অভাব। ছেলে-মেয়ে নিয়ে দুঃসহ দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে সাধ্যমতো। আর এই ত্রাণ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে গ্রহীতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখে।’
রিপন আরও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে এসব শ্রেণির মানুষ খুঁজে খুঁজে তাদের খাবার সামগ্রী সরবরাহের চেষ্টা করছি। এসব সামগ্রী দিতে গিয়ে আমরা কোনো ধরনের ফটোসেশন করছি না। গ্রহীতার সঙ্গে আমাদের দেখা-সাক্ষাৎও হচ্ছে না। দরজার সামনে খাবার রেখেই চলে আসছি। তবে আসার আগে দরজা সামান্য নক করছি। করোনাযুদ্ধে জয়ের পর আমরা সবাই না হয় একসঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলব।’
রিপনদের এই দলে রয়েছেন সংগঠনের সহসভাপতি মো. অলিউল্লাহ অলি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক আনোয়ার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ জুয়েল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণ।
খাবারের অভাব ত্রাণ সামগ্রী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও নিম্নমধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত