সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল পাহাড়ের হাম আক্রান্ত ৫ শিশু
১১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির দুর্গম অঞ্চল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে আনা হাম রোগে আক্রান্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। যোগাযোগের সুবিধাবঞ্চিত রাঙ্গামাটির গহীন পাহাড় থেকে তাদের হেলিকপ্টারে করে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিল সেনাবাহিনী।
শনিবার (১১ এপ্রিল) পাঁচ শিশুকে তাদের বাবা-মা সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাড়িতে ফেরত নিয়ে গেছেন। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পাঁচ শিশু হলো- প্রতিল ত্রিপুরা (৫), রোকেন্দ্র ত্রিপুরা (৬), রোকেদ্র ত্রিপুরা (৮), নহেন্দ্র ত্রিপুরা (১০) এবং দিপায়ন ত্রিপুরা (১৩)।
সম্প্রতি সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অরুন পাড়া, লুথিয়ান পাড়া ও কমলাপুরপাড়া গ্রামে মহামারি আকারে হাম ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্ততঃ ৮ জন ত্রিপুরা শিশু প্রাণ হারায়। এসব এলাকায় আরও ১২৫ জনের মতো হাম আক্রান্ত শিশুর সন্ধান মেলে। বিষয়টি জানার পর সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমানের নির্দেশে গত ২৪ মার্চ বেসামরিক ও সামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চিকিৎসক দল হেলিকপ্টারে ওই এলাকায় যায়।
দুর্গম ওই এলাকায় সরাসরি যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। এ অবস্থায় আক্রান্তদের বাঁচার সুযোগ ক্ষীণ হয়ে আসছিল। চিকিৎসক এলাকায় গিয়ে পাঁচ গুরুতর অসুস্থ শিশুকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ২৫ মার্চ বিকেলে রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম শেয়ালদহ এলাকা থেকে পাঁচ শিশুকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসেন সেনাসদস্যরা। এরপর তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চমেক হাসপাতালে ১৮ দিনের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে আক্রান্ত শিশুরা। চিকিৎসার খরচসহ সামগ্রিক বিষয় তত্ত্বাবধান করেছে সেনাবাহিনী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমানের একটি বক্তব্যও দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় পাহাড়িদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এর আগেও আমরা এরকম কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এ ব্যাপারে কোনো কার্পণ্য করা হবে না।’