Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউন দীর্ঘ সময়ের জন্য: মানসিক প্রস্তুতি নিন


১২ এপ্রিল ২০২০ ১৫:০০

প্রথমেই বলে রাখি— এই লেখা যখন লিখছি, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ওরফে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এক লাখ চার হাজারের চেয়েও কিছু বেশি। সারাবিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়ে ১৭ লাখ ২৩ হাজার। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। সেটা ৩ লাখ ৮৯ হাজারের মতো।  (আপনি নিজেও যেকোনো সময় ‘করোনা: লাইভ আপডেট’ লিংকে ক্লিক করে এই সংখ্যাগুলো জেনে নিতে পারবেন)।

বিজ্ঞাপন

সারাবিশ্বের মতোই বাংলাদেশেও টেস্টের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো ফ্যাক্টস আর ফিগার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গতকালের (শনিবার, ১১ এপ্রিল) শেষ ব্রিফিং পর্যন্ত পাওয়া খবর, দেশে মোট ৪৮২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৬ জন। এই লেখা লিখতে লিখতে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আরও করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর আসছে। আজও (রোববার) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে এবং পরেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে, সে আশঙ্কা থাকছেই।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে তিনটি জিনিসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তিনটি আলাদা উপাত্ত দিয়ে। এগুলো উপাত্ত মানে ফ্যাকচুয়াল ডেটা। এখানে কোনো অনুমান নেই। তবে আমার নিজস্ব কিছু অনুমান আছে, সেগুলোও বলব।

প্রথম কথা হলো, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি ‘অস্বীকৃত’ গবেষণায় বলা হয়েছিল— যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে মে মাসের মধ্য ভাগ নাগাদ প্রায় ৯০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হবেন, মারা যাবেন পাঁচ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। এই গবেষণাটিকে তার প্রতিষ্ঠান ‘অননুমোদিত’ বলেছে। যদিও জানা গেছে, আন্তর্জাতিক গবেষণার মেথডলজি অনুসরণ করেই এই মডেল করা হয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ তাদের অফিশিয়াল পরিপত্রেও পরিষ্কার করেই বলেছে, ‘যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়’, তাহলে ১০ কোটি পর্যন্ত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, মারা যেতে পারেন পাঁচ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত মানুষ। এখানে খেয়াল করতে হবে, দু’টি পেপারেই বলা হয়েছে— ‘যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়’।

আমাদের বেশকিছু ব্যবস্থা নিতে বেশ দেরি হয়েছে। বেশকিছু ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনা আছে বলে মিডিয়ায় খবরও আছে। তারপরও যেই ব্যবস্থাটি দেরিতে হলেও কার্যকর করার চেষ্টা চলছে সেটি হলো ‘সাধারণ ছুটি’র নামে ‘লকডাউন’। মানুষকে ঘরে আটকে রাখা। এখন পর্যন্ত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সে চেষ্টার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গবেষণাগুলো বলছে, টানা ৪৭ দিন পূর্ণ লকডাউন রাখলে সংক্রমণ সহনীয় মাত্রায় আসতে পারে। সেটাও প্রাথমিকভাবে।

ব্র্যাকের সেই গবেষণাপত্রের হিসাব অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল আড়াই লাখের কাছাকাছি। হয়েছে ৪৮২। আমরা ধরেই নিচ্ছি, একেবারেই যথাযথ পরিমাণে টেস্ট করা হয়নি। অর্থাৎ নানা কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টেস্ট হয়েছে। সেটা যদি ধরি মাত্র তিন শতাংশ, তাহলেও এক লাখ টেস্ট হলে আড়াই লাখ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গাণিতিকভাবে অসম্ভব। তার মানে সাড়ে পাঁচ লাখ লোক মারা যাওয়ার ‘চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা’ (Worst Case Situation) থেকে আমরা এরই মধ্যে পরিষ্কারভাবেই বের হতে শুরু করেছি।

এই পুরো জয়টি এসেছে শুধুমাত্র ‘লকডাউনে’র কারণেই, সেটি যতটুকুই কার্যকর হোক। তার অর্থ— এটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ নয় এবং যুদ্ধের অনেক কিছু এখনো বাকি আছে। কাজেই দয়া করে এবং দয়া করে ও কষ্ট মেনে নিয়ে ঘরেই থাকুন।

দ্বিতীয় কেস স্টাডিটি হলো ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের জাহাজটিকে নিয়ে। ওই জাহাজে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে মানুষ ছিলেন তিন হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে সবাইকে এবং সবাইকেই টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন ৭১২ জন, যা জাহাজের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১১ জন মারা যান।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, এত ছোট একটি জায়গার মধ্যে এত গাদাগাদি করে থাকার পরও যখন প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হননি, তার মানে ভাইরাসটি হয়তো শক্তিশালী নয়। কিন্ত আমরা পুরোপুরি যেটা ভুলে যাচ্ছি সেটা হলো— এই যাত্রীদের সবাইকে এবং সবাইকে যথাযথভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী অনেককে আইসোলেশনেও রাখা হয়েছিল। ফলে সম্ভাব্য কেউই মুক্তভাবে ঘুরে বেরিয়ে অন্যদের আক্রান্ত করার সুযোগই পাননি।

এই এক ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ঘটনায় আশা ও আতঙ্ক দু’টোই আছে। আশার কথাটি হলো— এত ছোট জায়গায় ১৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মানেই ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব আরও তিন সপ্তাহ আগে আমরা বজায় রাখলে আমরা সংখ্যায় এখনকার চেয়ে আরও কম আক্রান্ত হতাম। তবে দেরিতে হলেও আমরা সেটা করেছি। আর সে কারণেই আমাদের লোকালয় এখনো মৃত্যুর শহর নয়।

অন্যদিকে, আশঙ্কার কথা হলো— ডায়মন্ড প্রিন্সেসের প্রতিটি রোগীর কন্ট্যাক্ট ট্রেস করা হয়েছে তাদের কোয়ারেনটাইন ও আইসোলেট করার পরও। ১৪ দিন পার হওয়ার পরও তাদের প্রাথমিক সংযুক্ত পরিচিতদের ধারেকাছেও যেতে দেওয়া হয়নি, যতক্ষণ না তারাও ১৪ দিনের নিজস্ব কোয়ারেনটাইন শেষ না করেছেন। আমাদের এর কিছুই প্রায় শুরুতে করা হয়নি, বা করা সম্ভব হয়নি। এ কারণেই ক্লাস্টার সংক্রমণ এখন মাস কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা স্টেজ ফোরে প্রবেশ করেছে, সর্বাত্মক লকডাউন ছাড়া যেখান থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

কাজেই আবারো বলব— ঘরে থাকুন। ডায়মন্ড প্রিন্সেসের সুস্থ যাত্রীদের মতো আপনি নিজে জানবেন আপনি সুস্থ এবং একইসঙ্গে এ-ও জানবেন, আপনার পরিবারের সদস্যরাও সুস্থ আছেন। এইভাবে সবাই যদি নিজেদের সুস্থতার সংখ্যাটা যোগ করে ফেলতে পারি, তাহলে লড়াইটা চোখ বুঁজে না করে চোখ খুলেও করা যাবে।

তৃতীয় বিষয়টা হলো— আমাদের আক্রান্ত বনাম সেবা দেওয়ার সক্ষমতা। এই যুদ্ধের দুইটি অংশ আছে। প্রথমে সংক্রমণের হার ঠেকানো। সেজন্য টেস্ট করা প্রয়োজন। কোয়ারাইনটাইন বা আইসোলেশন করা— সেগুলো হচ্ছে। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে বিশ্বমানের পদ্ধতি। ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইল টেকনলজি। কিন্ত ব্যাপকহারে যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়, তাহলে পদ্ধতিগত সুবিধা থাকলেও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। সংখ্যার ব্যাপারগুলা তখন নগণ্য। আমাদের মনে রাখা দরকার, আমাদের সেবা দেওয়ার সক্ষমতার ক্ষেত্রে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা আছে। রাতারাতি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব নয়। এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের চেয়ে ছয়-সাত বছর এগিয়ে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দেশগুলোই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। সেখানে আমাদের দেশে একই পরিস্থিতি তৈরি হলে, আমরা যত চেষ্টাই করি না কেন, পেরে উঠব— এমনটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই। কাজেই এখন এই যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকানোই আমাদের প্রধান ও একমাত্র আশা।

কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি জার্মারি (২৭), ফ্রান্স (১৮), যুক্তরাজ্য (১৩) ও ইটালিতে (১৩৯) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক কম। কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। চতুর্থ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আকাশমুখী হয়ে উঠতে শুরু করে।

এসব রোগী কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহেই সংক্রমিত হননি। কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরে গড়ে উপসর্গ দেখা দিতে ১৪ দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তারপর উপসর্গের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১৯ দিনে তা ভালো হয়ে যায় বা এরই মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর করার কারণে অন্য দেশগুলোর তুলনায় সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা ধীর। কিন্তু লকডাউন করার আগে যারা সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের সংখ্যা বুঝতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে। সেই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ার কথা ছিল এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে তা ঊর্ধ্বমুখী উল্লম্ফনের আশঙ্কা রাখে। এপ্রিলের দিনগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য কিন্তু তেমন ধারাই দেখিয়েছিল। এর মধ্যে একদিনে সহস্রাধিক টেস্টের বিপরীতে শতাধিক আক্রান্তের ফলও আমরা পেয়েছি। কাজেই সামনে আরও বেশি বেশি টেস্ট হলে আরও বেশি বেশি আক্রান্ত মিলবে, সেটিকেই স্বাভাবিক ধরতে হবে।

তবে লকডাউন চলতে থাকলে যেহেতু নতুন করে সংক্রমণের হার কমে যাবে, সেক্ষেত্রে যারা লকডাউনের আগেই সংক্রমিত হয়েছেন তাদের চক্র ৪০ দিনের মধ্যে (ইনকিউবেশন পিরিয়ড সর্বোচ্চ ২১ দিন + উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর সর্বোচ্চ ১৯ দিন) সম্পন্ন হয়ে যাবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। আর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করতে পারে। তবে এর জন্য পূর্বশর্ত হলো— লকডাউন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে অন্তত ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ।

এখন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার দিনকে যদি প্রথম সপ্তাহের শুরু ধরি, তাহলে সপ্তাহ অনুযায়ী সংক্রমণের মাত্রা এমন—

  1. সপ্তাহ ১ (৮-১৪ মার্চ): আক্রান্ত ৫ জন
  2. সপ্তাহ ২ (১৫-২১ মার্চ): আক্রান্ত ২৪ জন (২ জনের মৃত্যু)
  3. সপ্তাহ ৩ (২২-২৮ মার্চ): আক্রান্ত ৪৮ জন (৫ জনের মৃত্যু, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৫ জন)
  4. সপ্তাহ ৪ (২৯ মার্চ-৪ এপ্রিল): আক্রান্ত ৭০ জন (৮ জনের মৃত্যু, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩০ জন)
  5. সপ্তাহ ৫ (৫-১১ এপ্রিল): আক্রান্ত ৪৮২ জন (৩০ জনের মৃত্যু, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৬ জন)

দেখা যাচ্ছে, চতুর্থ থেকে পঞ্চম সপ্তাহে যেতে মৃত্যুর সংখ্যা চার গুণ ও সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় সাত গুণ বেড়েছে। কাজেই আমাদের কোনোভাবেই গা ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিপদ কেটে গেছে বা বিপদ আসবে না ভাবাটাও হবে নির্বুদ্ধিতা। অতএব, আবার ও সেই একই কথা— ঘরে থাকুন এবং শুধু ঘরেই থাকুন।

যারা ভাবছিলেন এই অবস্থাটা মাত্র কিছুদিনের, বা ভাবছেন আর মাত্র কিছুদিন, এখনো পর্যন্ত তাদের জন্য কোনো সুখবর নেই। সমীক্ষা অনুযায়ী, টানা ৪৫ থেকে ৪৮ দিন লকডাউন দিলেও আমাদের মতো ঘনত্বের দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে একটা লড়াই চালানো যেতে পারে। নইলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ে বিপদ বাড়বে। বাড়বে লাশের সারি। বাড়বে হতাশা আর আতঙ্ক। তাই দীর্ঘদিন ঘরে থাকার মানসিক প্রস্ততি নিন এখন থেকেই।

বিশ্ব পরিস্থিতিতে গবেষণার বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান পত্রিকা বলছে, ভ্যাকসিন বের হওয়ার আগে কিছু দেশ লকডাউন ‍উঠিয়ে নিলেও আবার কিছুদিন পর লকডাউন জারি করতেই হবে। তাই লম্বা সময় ঘরে লকডাউন থাকার জন্য আমাদের পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি দরকার। সেটার জন্য শুয়ে বসে ছবি দেখে কাটালে আপনি হারাবেন অনেক কিছু। এই লম্বা লকডাউনের চরম অর্থনৈতিক মূল্য কিভাবে কাটানো যায়, সরকারকেও সেটা চিন্তা করতে হবে। এগুলো নিয়ে আরেক দিন লিখব।

তবে ওপরের সব তথ্য ও উপাত্তে এটা পরিষ্কারভাবে বলা আছে, আমরা ভালো মতোই এই যুদ্ধে টিকে আছি। যা অর্জন করা দরকার ছিল, সেগুলোতে দেরি হয়েছে। সমন্বয় ছিল না, এখনো নাই বহুলাংশে। কিন্তু ধীরে ধীরে যুদ্ধ করার অনূকূল পরিবেশ তৈরিও হচ্ছে। যুদ্ধ ঠিকমতো চললে জয়টা আসবেই, তাতে সময় যাই লাগুক। আপাতত শুধু ঘরে থাকুন।

দ্য গেম ইজ নট ওভার। ইট জাস্ট স্টার্টেড।

লেখক: ম্যানেজিং এডিটর, সারাবাংলা ডটনেট

১৫ মিনিটেই করোনা শনাক্ত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোভিড-১৯ ডায়মন্ড প্রিন্সেস লকডাউন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর