৩ চিকিৎসক আক্রান্ত, করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাময়িক বন্ধ
১৪ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৫৮
ঢাকা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসকের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির সব কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে একজন ব্যক্তি সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগেই করিমগঞ্জে আসেন। ঢাকা থেকে আসার ১০ দিন পর তিনি মারা যান। পরে নমুনা পরীক্ষায় তার মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়। তার স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের শরীরেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই উপজেলা লকডাউন করা হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, আমরা ধারণা করছি, ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমেই করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে। আর তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্সসহ সব কর্মচারীকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সেটা পাওয়া গেলে সবাইকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হবে। হাসপাতালকে আমরা জীবাণুমুক্ত করব। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে।
ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরও বলেন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ উপজেলায় মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ছয় জন। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর হাসপাতালের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা সাময়িক বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। এই হাসপাতালটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পাশাপাশি স্বাস্থ কমপ্লেক্সের সাত কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসা নেওয়া যাবে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নারী চিকিৎসকের স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। সম্প্রতি ওই নারী চিকিৎসকের পরীক্ষা করা হলেও তার পরীক্ষার ফলাফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
একাধিক সূত্রের অভিযোগ, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিপূর্ণ পিপিই দেওয়া হয়নি। যেসব পিপিই দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও মানসম্পন্ন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, পিপিই মানসম্মত নয়— এমন অভিযোগ সঠিক নয়। তবে প্রথম দিকে হয়তো পূর্ণাঙ্গ পিপিই অনেকেই পরেননি। সে কারণেই এমন অবস্থা হয়ে থাকতে পারে।
৩ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করিমগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টপ নিউজ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম স্থগিত