বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪৮
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চীন ঘেষা অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তার এ সিদ্ধান্ত জানান।
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি, আপাতত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা বন্ধ করার জন্য। প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ট্রাম্প বলেন, মহামারিটি তার উৎপত্তিস্থলেই সীমিত রাখা যেত, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভুলের কারণে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
এর আগে ৭ এপ্রিল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’কে ‘অনেক বেশি চীনঘেঁষা’ বলে সমালোচনা করে সংস্থাটিতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিলের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অর্থ সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানালেন ট্রাম্প।
৭ এপ্রিলের ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, চীনের প্রতি অতিরিক্ত নজর দিতে গিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। ডব্লিউএইচও যদি তাদের আচরণে পরিবর্তন না আনে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সকল তহবিল বাতিল ঘোষণা করবে।
১ তারিখের আগেই লকডাউন প্রত্যাহার
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প ১ মে’র আগেই দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার জন্য তার পূর্বের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেন, সম্ভবত আগামী মাসের ১ তারিখের আগেই আবার সবকিছু খুলে দিতে পারব। দ্রুতই ৫০টি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলব। প্রত্যেকটি রাজ্যের লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে।
তবে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যগুলোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিতে পারেন কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর আগে সোমবারের ব্রিফিংয়েও একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। তবে তার এ সিদ্ধান্তের প্রতীবাদ করেছেন বেশিরভাগ রাজ্যের গভর্নররাই। রাজ্য বিষয়ক এমন সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিতে পারেন না বলে মত দিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির সমালোচনা করে নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো বলেন, প্রেসিডেন্ট যেভাবে ক্ষমতার চর্চা করছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি একজন ‘রাজা’। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ক্ষমতা চর্চায় দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।