বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫২
ঢাকা: মার্চ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার (১৫ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর আসে।
রাজধানীর বাড্ডা, মিরপুর, মহাখালী, দারুস সালাম রোড, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কর্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বেতনের দাবিতে মালিকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। নির্দিষ্ট সময়ে বেতনের দাবি জানান।
এছাড়া কমলাপুরের সর্দার গার্মেন্টস, বাড্ডার ইউরোজোন ফ্যাশনস, ফ্যালকন ইন্টারন্যাশনাল ও ক্লেমন গার্মেন্টসেও বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।
বাড্ডার রেদওয়ান টেক্স অ্যান্ড অ্যাপারেল লিমিটেডের শ্রমিকরা, মিরপুরে ১১ ও ১২তে বিভিন্ন কারখানার শ্রকিরা বিক্ষোভ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভ হয়েছে উত্তরাতেও।
সকালে ঢাকার বাইরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক ও বোর্ড বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তারা বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে বিজিএমইএ জানিয়েছে, পূর্ব প্রতিশ্রতি অনুযায়ী আগামীকালের (১৬ এপ্রিল) মধ্যেই কারখানাগুলোয় বেতন পরিশোধ হবে। এছাড়া বিক্ষোভ হওয়া বিভিন্ন কারখানায় আজ ও আগামীকাল বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ হওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স বেতন দেবে ১৫ তারিখ, জা অ্যাপারেল অ্যান্ড জা সোয়েটার বেতন দেবে ১৬ তারিখ, ওয়েমার্ট ১৫ তারিখ, ডিপিডিএল ১৫ তারিখ, ক্লেমন ১৬ তারিখ, বিন্নি ১৫ তারিখ, ইউরো জোন (বাড্ডা) ১৬ তারিখ। রেদওয়ান টেক্স (বিজিএমইএ’র সদস্য নয়) বেতন দেবে ২৫ তারিখ।
তবে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়নি। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১ হাজার ২৩৫টি তৈরি পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের বেতন হয়েছে। এরমধ্যে বিজিএমইএ-এর সদস্যভুক্ত ৯১৭টি ও বিকেএমইএ-এর ৩১৮টি কারখানায় মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ১৩ এপ্রিলও বেতনের দাবিতে ঢাকাসহ বেশ কিছু কারখানার সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। আর নির্দিষ্ট সময়েই বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে পোশাক মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বিজিএমইএর ২ হাজার ২৭৪ সদস্য কারখানার মধ্যে ৯১৭টি পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ১২৪টি, গাজীপুরে ৩৫৯টি, সাভার-আশুলিয়ায় ২০৭টি, নারায়ণগঞ্জে ৮২টি ও চট্টগ্রামের ১১৪টি ও অন্যান্য ৩১টি কারখানায় মার্চ মাসের বেতন হয়েছে। এদিকে বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চালু থাকা ৮৩৩টি কারখানার মধ্যে ৩১৮টিতে মার্চ মাসের বেতন হয়েছে। আরও বেশ কিছু কারখানাও বিছিন্নভাবে বেতন দিচ্ছে।