লে-অফ চেয়ে বিজিএমইএ’র চিঠি, পরে ‘প্রত্যাহার’
১৬ এপ্রিল ২০২০ ০০:২৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা তৈরি কারখানাগুলোতে লে-অফ ঘোষণার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ আবেদন গ্রহণ করে কারখানাগুলোকে লে-অফ ঘোষণা করা হলে শ্রমিকরা তাদের বেতনের অর্ধেকসহ কিছু সুবিধা পাবেন। তবে সেক্ষেত্রেও এসব সুবিধা পাবেন কারখানার স্থায়ী কর্মীরা।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হকের সই করা চিঠিতে সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ ঘোষণা করা সব কারখানাকে লে-অফ বিবেচনা করে ঘোষণা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক পরে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এই চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে সে তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- বেতন দিতে আরও সময় চাইল বিজিএমইএ
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কাছে পাঠানো ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ কারখানাকে লে-অফ ঘোষণা প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তাদের অর্ডার বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় সরকার মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, তখন কারখানা মালিকের ধারণা ছিল, অল্প সময়ের মধ্যেই কারখানা খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তাই তারা কেউ শ্রম আইনের কোনো ধারা উল্লেখ না করেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। কেউ কেউ আইনের ১২ ও ১৬ ধারার উল্লেখ করে বন্ধ ঘোষণা করেন।
চিঠিতে বলা হয়, এরই মধ্যে অধিকাংশ কারখানা শ্রমিকদের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করছে। এপ্রিল মাসের মজুরি হিসাবের সময় সরকার ঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যেসব কারখানা কোনো ধরনের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং যারা আইনের ১২ ও ১৬ ধারা উল্লেখ করে বন্ধ ঘোষণা করেছে— সব কারখানাকেই লে-অফ বিবেচনা করে দফতর থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এদিকে, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কারখানাগুলোতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণার অনুরোধ জানালেও অনেক কারখানাতেই লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। তারা বলছেন, তারা বেতনের বেসিক অংশটুকু পাবেন বলে শুনেছেন। অন্য কারখানার শ্রমিকরাও এপ্রিল মাসে কেবল বেতনের বেসিক পেতে পারেন— এমন গুঞ্জনে শঙ্কিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানাগুলোকে লে-অফ ঘোষণা করলে এপ্রিল মাসে কেবল স্থায়ী শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক দিলেই কারখানাগুলোকে শ্রমিকদের বাকি বেতন-ভাতার জন্য দায়ি করার আইনি রাস্তা থাকবে না। সরকার এসব কারখানার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও সেটি স্বল্প সুদে ঋণ আকারে হওয়ায় লে-অফ ঘোষণা হলে কারখানাগুলোকে বেতনের জন্য সেই ঋণ নিতে হবে কম পরিমাণে। তবে সেক্ষেত্রে করোনা সংকটের এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকরা।
অর্ধেক বেতন কারখানা লে-অফ টপ নিউজ বিজিএমইএ বেতনের বেসিক রুবানা হক লে-অফ লে-অফ চেয়ে আবেদন