কোভিড-১৯: সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৫৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ অবস্থায় জনগণকে ঘরে থাকা নিশ্চিত ও এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশেরও বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন- করোনা মহামারি, ঘোষণা যেকোনো সময়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা; এবং জনসাধারণের একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়; এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। এসব কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে গোটা বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গোটা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে তিনটি নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না;
২. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো; এবং
৩. সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।
করোনা: লাইভ আপডেট
এসব নির্দেশনা না মানলে সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর থেকেই একে মহামারি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে। সারাবাংলায় মঙ্গলবার (১৪ এ্রপ্রিল) এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়। ওই দিন সংশ্লিষ্টরা বলছিলেন, করোনাকে মহামারি ঘোষণা করা হলে সরকার একে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কোভিড-১৯ ঝুঁকিপূর্ণ সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য অধিদফতর