‘মুজিবনগর দিবসের চেতনা বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি জোগাবে’
১৬ এপ্রিল ২০২০ ২০:২০
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা ও চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি জোগাবে। তিনি মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
বৃহ্স্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাণীতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বর্বরতম হামলার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে এ দেশের মানুষ খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং দেশের সর্বত্র বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিরোধ গড়ে উঠে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধকে চূড়ান্ত পরিণতি দেওয়ার জন্য জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একটি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সমন্বিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। দেশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত ও পরিচালনাই কেবল নয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ন্যায়যুদ্ধ ও অনিবার্য প্রয়োজন হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্যও একটি সরকার কাঠামোর প্রয়োজন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণার কেন্দ্রে ধারণ করে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক মুজিবনগর সরকার দেশপ্রেমিক মুক্তিপাগল জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে একটি সফল জনযুদ্ধে পরিণত করে। আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ে তাঁরা অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ফলে নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।’
বাণীতে মন্ত্রী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও প্রাণপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ সকল শহিদ, বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুপ্রেরণা আ ক ম মোজাম্মেল হক চেতনা বাঙালি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুজিবনগর দিবস শক্তি