ঢাকা: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশজুড়ে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় চলতি বছরের হজ নিবন্ধনের সময় শেষবারের মতো বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হজ পালনে যেতে ইচ্ছুক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিবন্ধন করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকারি ছুটির কারণে ২০২০ সালের সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছরে হজ পালনে ইচ্ছুকদের অনেকে নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়া বা ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার নিতে পারেননি। এরই মধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা দিতে না পারায় নিবন্ধন করেননি।
এই অবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজে গমনেচ্ছু যেকোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একই সঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৬,৭২, ১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আগে এলে আগে নিবন্ধন করা হবে ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ২৯ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক যারা তারা ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিতে নিবন্ধন করবেন। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি টাকা জমা না দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা জমা দেন তাহলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে না। যদি কোনো এজেন্সি অতিরিক্ত টাকা দিতে বলে তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় দেওয়া অর্থ কোনো পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও পাঠানো যাবে না। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এই টাকা তুলতেও পারবে না।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ মার্চ আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ মার্চ থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়ে চলে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আরেক দফা বৃদ্ধি করা হলে সেখানেও নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ায় শেষ বারের মতো ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ালো ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮জন হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।