হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ত্রাণ বিতরণ করলো সেনাবাহিনী
১৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৪
বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা ও থানচির দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ত্রাণ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে লকডাউনে থাকা ম্রো সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে আর্মি এভিয়েশনের একটি বিশেষ হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয় ত্রাণ বিতরণ।
এসময় বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান, ৬৯ ব্রিগেডের জি-২ (আই) মেজর মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন পিএসসিসহ পাড়াবাসী উপস্থিত ছিলেন।
থানচির লিকরি, বুলু পাড়া হেডম্যান পাড়া ও রুমার চিনলক পাড়ার ৩৬০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। এসব ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান এসব পাড়াবাসীরা।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ সব ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান বলেন, বান্দরবানের থানচি ও রুমার দুর্গম এলাকায় ম্রো সম্প্রদায় তাদের এলাকাগুলো স্বেচ্ছায় লকডাউন করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ তাদের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে না পেরে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তাই আমরা তাদের ত্রাণ পৌঁছানো ও বিতরণের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীর এমন দ্রুত সহযোগিতায় তাদের ধন্যবাদ জানান বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম।
ত্রাণ বিতরণ বান্দরবান সেনাবাহিনী সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার হেলিকপ্টার