৮৭ শতাংশ শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পেয়েছে, দাবি বিজিএমইএ’র
১৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৫
ঢাকা: ৮৭ শতাংশ শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এক অডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান। বাকি শ্রমিকদের বেতন ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
অডিও বার্তায় রুবানা হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের সদস্য কারখানার ৮৭ শতাংশ শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে পেরেছি। বাকি যে কারখানাগুলো আছে, তারা মূলত ছোট কারখানা। তারা বড় ক্রেতাদের কাজ করেন না। এমন একটি সময়ে আমরা পার করছি, যখন ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করছে, দেরিতে টাকা দিচ্ছেন। এমন সময়ে সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানাগুলোকে সংকটে পড়েছে। এই কারখানাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা ব্যাংকে যাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করছেন। বাকি ১৩ শতাংশ শ্রমিকও ২০ তারিখের মধ্যে বেতন পাবে। সবাই মার্চ মাসের বেতন পাবেন।’
এদিকে বিজিএমইএ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের সদস্যভুক্ত ২২৭৪টি কারখানার মধ্যে ১৬৬৫টি কারখানায় শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন হয়েছ। অর্থাৎ বিজিএমইএ’র ৭৩ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়েছে। বিকেএমইএ-ও জানিয়েছে, তাদেরও ৭০ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়েছ।
বেতনের দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কমলাপুরের বিন্নী গার্মেন্টেসের শ্রমিকরাও বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে। তবে বিকালে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এদিনই কারখানাটির শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়েছে।
পোশাক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রায় একই রকম তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের ৩০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক এখনো মার্চ মাসের বেতন পায়নি বলে দাবি করেছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো কোনো কারখানা মালিক শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন থেকে ৫ দিনের বেতন কেটে রেখেছেন। যেসব কারখানা ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
পোশাক কারখানা পোশাক শ্রমিক বিজিএমইএ মার্চ মাসের বেতন শ্রমিকদের বেতন