Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার’


১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫৩

ঢাকা:  করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কৃষিখাতকে সচল রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ ও বিপণনকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে করণীয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা জানান।

এসময় মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলের ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার বরাদ্দ হয়েছে। হাওরে যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক সহ নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া, নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আলাদা গাড়ি, নির্বিঘ্ন যাতায়াত, ধান কাটা স্থলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে থাকার ব্যবস্থা করাসহ ইত্যাদি কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওরে যাওয়া শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, হাওরে ধান কাটায় কোন সমস্যা হবেনা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এর সুদ ৪% হলেও কৃষিখাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকিসহ অন্যান্য প্রণোদনা বিবেচনায় নিলে এটি অত্যন্ত ভাল। এ প্রণোদনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্য ও প্রাণী খাতসহ কৃষির সকল সেক্টরে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে।

আউশ উৎপাদনের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাধারণত প্রতিবছর ৩০ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হয়। আসন্ন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা হলো ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। সেজন্য আসন্ন আউশ মৌসুমে বিএডিসির সেচের রেট ৫০% হ্রাসের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; এবং ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন হাইব্রিড ও উফশি জাতের বীজ ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিযান্ত্রিকীকরণে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মাধ্যমে প্রায় ৮০০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৪০০টি রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সমপরিমাণ কৃষি যন্ত্রপাতি অচিরেই কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, এসব প্রণোদনার বাইরেও কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি পুনর্বাসনে ১২০ কোটি টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ ও সমবায়ভিত্তিক (সমলয়ে) চাষাবাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং ফসলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য প্রদর্শনী স্থাপন ও গ্রহণকরণ বাবদ ৭৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে। সম্প্রতি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বীজ, সেচ ইত্যাদিসহ কৃষিখাতে সহায়তা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে— জানান কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর