লকডাউনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের টুইট যুদ্ধ
১৮ এপ্রিল ২০২০ ১০:৩৬
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে চলমান লকডাউন বিরোধী আন্দোলনকে উস্কে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সিরিজ টুইট করে তিনি ওই রাজ্যের নাগরিকদের প্রাত্যহিক চলাচলে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়ে, তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট টাস্ক ফোর্সের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি মিন্নেসটা, মিশিগান ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন ওই অঞ্চলগুলো লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে বেঁকে বসেছে।
তারপর ট্রাম্প তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মিন্নেসটা, মিশিগান ও ভার্জিনিয়া রাজ্যের কথা উল্লেখ করে ওই অঞ্চলগুলোকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি তোলেন।
LIBERATE VIRGINIA, and save your great 2nd Amendment. It is under siege!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 17, 2020
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নভেল করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ ঠেকাতে ওই রাজ্যগুলোতে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই।
অন্যদিকে, ওই রাজ্যগুলোতে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত নাগরিকরা জানিয়েছেন – স্বাস্থ্য বিভাগ অকারণ বিধিনিষেধ জারি করে তাদের স্বাভাবিক জীবন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছেন। অবিলম্বে এই ব্যবস্থা প্রত্যাহার চান তারা।
উল্লেখ করা যায় যে, যে অঙ্গরাজ্যগুলোর কথা ট্রাম্প তার টুইটে উল্লেখ করেছেন প্রতিটি ডেমোক্রেট দলের গভর্নরের অধীনে শাসিত হচ্ছে। এর মধ্যে মিশিগানে কয়েক হাজার নাগরিক লকডাউনবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। এছাড়াও, লকডাউনবিরোধী প্রতিবাদের পরিকল্পনা চলছে উইসকনসিন, ওরেগন, ম্যারিল্যান্ড, ইধাও এবং টেক্সাসে।
এ ব্যাপারে মিন্নেসটার গর্ভনর টিম ওয়ালজ বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের ওই দুই শব্দের টুইট শুধু ওই পর্যন্তই নয়, এর প্রভাব আরও ব্যাপক, তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে আগে আলোচনা করতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর শিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ১০ হাজার ২১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার ১৫৮ জনের এবং চিকিৎসা নিয়ে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন ৬০ হাজার ৫১০ জন।