Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউন নয়, সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন জরুরি


১৮ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৩

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-২৯) কারণে সৃষ্ট বর্তমান মহামারি খুবই জটিল আকার ধারণ করেছে। ভাইরাসটা নতুন হওয়ায় এখনও এর কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই এর সংক্রমণ থেকে সহজে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট পথও জানা নেই। এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই রোগ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনকে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের মতো করে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। করোনা প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া সাধারণ ছুটি বা ‘লকডাউন’কে সফলও বলা যাচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা ও সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন জরুরি।

করোনা প্রতিরোধের সব সমস্যাকে চিহ্নিত করে সমন্বিত পরিকল্পনাকে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে ভাগ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে চলমান সময়ের সঙ্গে ভবিষ্যতেও এই জাতীয় সংকট মোকাবিলা করা যায়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় যত দ্রুত সম্ভব একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয়, আন্তঃসংগঠন এবং আন্তঃব্যক্তির সহযোগিতা ছাড়া এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা অনেক ক্ষেত্রেই এক পেশে হয়ে যায়। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বাস্তবায়নের কৌশল মানা হচ্ছে। এই দূরত্ব তৈরি করার কৌশল হিসেবে এক পর্যায়ে ছুটি, সাধারণ ছুটি, গুচ্ছ লকডাউন, পরে জেলাগুলোতে লকডাউন হয়েছে। এটি মূলত প্রতিরক্ষার একটি কৌশল। এই লকডাউন মানে সময় কিনে নেওয়া। যে সময়ে আমরা পরবর্তী কৌশলগুলো ঠিক করতে পারব।’

অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি বলেন, ‘লকডাউনের এই কৌশল অন্য দেশে যেমন- চীন বা আইসল্যান্ড, গ্রিস বা নিউজিল্যান্ডে যেভাবে কাজ করেছে, আমাদের দেশে কিন্তু পুরোপুরি কাজ করছে না। কারণ হচ্ছে, চীনে কমান্ড বা আদেশ মানার যে সংস্কৃতি রয়েছে, আমাদের এখানে তা নেই। আবার উন্নত দেশের নাগরিকরা সচেতনতার কারণে নিজেরাই লকডাউন বা সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছে, যা আমাদের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। আমাদের দেশ মিক্সড মডেল হয়ে গেছে অর্থাৎ বাংলাদেশ নিজেই একটা মডেল হয়ে গেছে। আমাদের এখানে পার্সিয়াল লডডাউন, পার্সিয়াল সেপারেশন হয়েছে। ফলে চীনে লকডাউন শতভাগ কার্যকর হলেও আমাদের দেশে লকডাউন বা সেপারেশন যাই বলি না কেন, এগুলো পুরোপুরি কাজ করছে না। অন্যদিকে, যেসব দেশ প্রচুর পরীক্ষা (টেস্ট) করছে, যেমন জার্মানি প্রচুর টেস্ট বা কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করেছে, আমরা সে পথেও যেতে পারিনি। তাই আমাদের যে ব্যর্থতা তা মিক্সড ব্যর্থতা। আবার আমাদের প্রস্তুতিরও অভাব রয়েছে, রয়েছে সম্পদের অভাব।’

অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি আরও বলেন, ‘যেহেতু লকডাউন পুরোপুরি সফল না তাই আমাদের সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ করতে হবে। যেখানে স্বস্থ্যের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইনশৃঙ্খলা, সড়ক যোগাযোগ, স্থানীয় সরকার, পুলিশ-আর্মি, খাদ্য, ত্রাণ, তথ্যসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রায় সবগুলো মন্ত্রণালয় থাকবে। এসব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে একটি এক্সিট প্লান করতে হবে। এই এক্সিট প্লানে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা এবং কার কী করণীয় তা উল্লেখ থাকতে হবে। কার কী রোল থাকবে, সাব কমিটির কী কাজ হবে অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ একটি সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে। কেননা এই কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে আমাদের বহুদিন বাঁচতে হবে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এর ভ্যাকসিন আসতে আরও দেড় বছরের মতো লাগতে পারে। আর এটি আমাদের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছতে তিন বছর লাগবে। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘এক্সিট প্ল্যানের প্রথম ধাক্কায়, যারা অসুস্থ হচ্ছে তাদেরকে সবার আগে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়, তা ঠিক করতে হবে। এজন্য আমরা এখন যে আলাদা কোভিড হাসপাতাল করছি এই ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে উল্টো কাজ করতে হবে। সেটা হচ্ছে যে জেনারেল হাসপাতাল বা যেগুলো সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে উপজেলা পর্যন্ত সরকারের যে বিশাল অবকাঠামো রয়েছে সেগুলোকে ব্যবহার করতে হবে। এই সময়ে হাসপাতাল সংক্রান্ত সরকারি অবকাঠামোর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই অব্যবহৃত রয়েছে। তাই এগুলোকেই মেজর হাসপাতালে পরিণত করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতিতে যেহেতু রোগীদের তথ্য গোপন করার অভ্যাস রয়েছে আবার কোভিড টেস্টও করা যাচ্ছে না, তাই সবাইকে কোভিড পজিটিভ ধরে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাই হাসপাতালে আসবে না। আগে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে স্ক্রিনিং হয়ে যাদের সত্যি সত্যি জরুরি বা সেমি জরুরি প্রয়োজন তারা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা দিতে হবে। যার যেমন প্রয়োজন সে অনুযাযী পরিকল্পনামাফিক পিপিই দিতে হবে। হাসপাতালে পজিটিভ রোগী পাওয়া গেলে তার জন্য কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা করা, তাকে আবার রেড জোনে রাখা, এগুলো সবই সম্ভব। শুধু তাই নয়, সরকারি যেসব হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোর সবগুলোতেই সাধারণ রোগীর পাশাপাশি কোভিড রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে হাসপাতালগুলোকে ঠিক করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে আলাদা হাসপাতাল নেই। কিন্তু সেখানে আইসোলেশন জোন করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধ করে কীভাবে আইসোলেশন জোন, রেড জোন করতে হবে এগুলোর জন্য পদ্ধতি রয়েছে। যা ফলো করলে সম্ভব। কোভিড রোগীর জন্য আলাদা হাসপাতাল সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে, সরকারি হাসপাতালগুলোকে কার্যকর হাসপাতালে রূপান্তর করা। শতভাগ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে এটা সম্ভব।’

বিশিষ্ট এই চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলেন, ‘সবকিছুতে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা এনে আমাদের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রস্তুতির পর একটি বায়োলজিকেল অস্ত্র বা অ্যান্টিবডির ওপর জোড় দিতে হবে। এজন্য আমাদের শরীরে পুষ্টি থাকতে হবে, প্রোটিন, ভিটামিন এগুলো সব ভালো থাকতে হবে। খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এই সময়ের খাদ্য নিরাপত্তা অন্য সময় (বন্যা বা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যাগ) থেকে ভিন্ন। তাই এখন পুষ্টি নিরাপত্তা বলাই শ্রেয়। এই লকডাউনে আমরা মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচালাম, এটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। অন্যদেশ যারা লকডাউন করেছে তারা সম্পূর্ণ পুষ্টিকর প্যাকেজ খাবার তাদের জনগণকে সরবরাহ করতে পেরেছে, তাই তাদের জন্য লকডাউন ঠিক আছে। যেমন কেরালায় তারা তাদের নাগরকিদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করেছে, এখন আমরা কেরালার মত হতে পারলে সমস্যা ছিল না। আমরাতো যে খাদ্য দিচ্ছি সেগুলো সবই শুকনা খাবার বা ক্যালরি, সেখানে যথেষ্ট পুষ্টি নেই। তাই লকডাউন মডেল আমাদের জন্য ঠিক নয়। কেননা লকডাউনের পর আমাদের মানুষগুলো যখন বাসা থেকে বের হবে তখন তারা দুর্বল হয়ে বেরুবে। তখন ভাইরাসের ছোট্ট আক্রমণেই তারা আক্রান্ত হয়ে যাবে।‘

অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি বলেন, ‘দ্বিতীয় ভাবনা হচ্ছে, কার দেহে কেমন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা দ্রুত পরিমাপ করা। নেদারল্যান্ডে দেখা গেছে, এই সময়ে ১৭ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩ শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। নেদারল্যান্ডে আমাদের দেশের নাগরিকদের তুলনায় তারা কয়েক গুণ বেশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছে। জার্মানি প্রতি সপ্তাহে ৫ লাখ লোকের ওপর অ্যান্টিবডির এই টেস্ট চালাচ্ছে। তাই আমাদের এখানে এটা মাপা বা পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। এই অ্যান্টিবডি টেস্টের বিষয়টা আমাদের এখানে প্রথমে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের (চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী) মধ্যে আগে করতে পারলে একটা বিরাট সৈনিক দল পাওয়া যাবে। যাদের করোনা প্রতিরোধে মাঠে নিশ্চিন্তে নামানো যাবে। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। এর জন্য কিট প্রয়োজন। এই কিটগুলো আবার মান সম্মত হতে হবে। তা না হলে আবার বিপরীত ফল আসবে। যেমন: চীনের কিটগুলোতে এরই মধ্যে ফলস পাওয়া গেছে। এজন্য কিটের মান নির্ণয়ে একটা পদ্ধতি আছে, যা শতভাগ মানা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। আমেরিকান, জার্মানরা এই টেস্ট করছে। এ বিষয়ে চীনের ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। ভারতেও এই টেস্ট শুরু হয়েছে।’

অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি আরও বলেন, ‘এরপরে ফেজওয়াইস গেরিলার মতো গুচ্ছ গুচ্ছ লকডাউন শিথিল করে করে অর্থনীতিকে সচল করতে হবে। এগুলো হচ্ছে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা। মূল জায়গায় আমরা যদি হাত না দিই তাহলে সফলতা আসবে না। অ্যান্টিবডি টেস্টের সঙ্গে আরেকটা খুব বড় ব্যাপার জড়িত, তা হচ্ছে- যাদের খুব ভালো অ্যান্টিবডি রয়েছে তাদের সেরাম বা প্লাজমা সংগ্রহ করা। এই থেরাপি একটা বড় অস্ত্র। চিকিৎসা জগতে এটা একটা বড় বিপ্লব। কারণ করোনার ওষুধ নিয়ে এখন যা বলা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞিানিক কোনো ভিত্তি নেই। এগুলো নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে। তাই প্রতিরোধের জন্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ভরসা হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। এতে বিশাল ডোনার গ্রুপ তৈরি করা যাবে। যেমন ডেঙ্গুর সময় আমরা বিশাল গ্রুপ থেকে প্লাটিলেট সংগ্রহ করে অনেক চিকিৎসা দিয়েছি- এই থেরাপিটাও প্রায় একই ধরনের। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই শক্তিটা আমাদের অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে। আর্ন্তজাতিক মান অনুযায়ী স্বাস্থ্যখাতে সুরক্ষার জন্য জিডিপির ন্যূনতম ৫ শতাংশ ব্যয় করার কথা। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই খাতে জিডিপির তিন শতাংশ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের মূল্যায়ন অনুযায়ী, আমরা স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির মাত্র শূন্য দশকি ৪৭ শতাংশ ব্যয় করি, যা খুবই অপ্রতুল। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো গড়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যয় করে। এই খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) ২ দশমিক ২১ শতাংশ গড়ে ব্যয় করে। এই অর্থের বরাদ্দই প্রমাণ করে যে, আমাদের স্বাস্থ্যখাত কতটা গুরুত্বহীন। আমাদের জনগোষ্ঠী বেড়েছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জায়গা থেকে আমরা এখনও উন্নত হতে পারিনি। পরিচালন সক্ষমতায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের নগর স্বাস্থ্য হাসপাতালগুলো দেখভাল করে সিটি করপোরেশন অথবা পৌরসভা। মানে হচ্ছে, প্রাথমিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুররক্ষার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে নাই। যে কারণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা গাজীপুরে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।’

অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি করোনাভাইরাস জরুরি বাস্তবায়ন লকডাউন সমন্বিত পরিকল্পনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর