অনলাইনে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে দুই আইনজীবীর চিঠি
১৯ এপ্রিল ২০২০ ১০:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে আদালত বন্ধ থাকায় জরুরি মামলার নিষ্পত্তির জন্য অনলাইনে কোর্ট পরিচালনার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী।
মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও সংগঠনটির পরিচালক অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রোববার (১৯ এপ্রিল) এ চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেহেতু দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি সেহেতু স্বল্প পরিসরে হলেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া জরুরি। কেননা, বাংলাদেশ সংবিধানে দেশের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার এসব অধিকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংবিধান অনুসারে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দেশের উচ্চ আদালতসমূহ একেবারেই বন্ধ থাকায় নাগরিকরা তাদের অধিকার বঞ্চিত হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই করোনা সংক্রমণের মধ্যেও সাংবিধানিক বিবেচনায় অনলাইনের মাধ্যমে হাইকোর্টের এক বা একাধিক বেঞ্চ পরিচালনার অনুরোধ জানানো হলো।
এ ছাড়াও চিঠিতে করোনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আরজি জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই চিঠিটি আবেদন ( রিট পিটিশন) হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ আছে বলেও চিঠিতে আইনি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্যপণ্য, ত্রাণ বিতরণের জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশনা প্রদানের আরজি জানানো হয়েছে।
এছাড়াও টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ প্রদান, সড়কে ভিড় না জমানোর জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য মেডিকেল কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা, পিপিই সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স, যানবাহন এবং আবাসিক আইসোলেশন সুবিধা প্রদান করার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি খুব শীঘ্রই দেশের প্রতিটি জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চিঠিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সকল ব্যাংকের লেনদেনের সময় বৃদ্ধি করতে নির্দেশনা জারি করতে চিঠিতে বলা হয়েছে।