আদার কেজি ৩৫০ টাকা, ব্যবসায়ীদের দাবি ‘সরবরাহ কম’
১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১১
ঢাকা: গত এক সপ্তাহে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আদার সংকট রয়েছে। গত ১০ দিন আগেও আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। সেই আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার ওপরে। বাজারে আদার সরবরাহ নেই। যার কারণে দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ও রোববার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০ দিন আগেও চীনা ও ভারতীয় আদা বাজারে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সেই আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। আর দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি চলাচল কম। ফলে ঢাকার বাইরে থেকে আদা আসতে পারছে না। এছাড়া আমদানিও বন্ধ। তাই আদার দাম বেড়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা কাঁচাবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী জসিম আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদার দাম বাড়া ছাড়া কমার কোনো কারণ নেই। আদা বেশির ভাগই আমদানি নির্ভর। কিন্তু গত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। এছাড়া বিদেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল করলেও পণ্য আসছে কম। ফলে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না হলে ভোগ্যপণ্যের দাম কমবে বলে মনে হয় না।’
বিক্রেতা জসিম বলেন, ‘বাজারে আদার সরবরাহ নেই। খুচরা বিক্রেতারা পণ্য কিনতে পাইকারি বাজারে যেতে পারছেন না। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জেলা ও বিভিন্ন বন্দর থেকে পণ্য আনতে পারছেন না। ফলে দাম তো বাড়বেই।’
শ্যামবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী শামস বলেন, ‘বাজারে আদার সংকট রয়েছে। চায়না আদা নেই বললেই চলে। আমাদের যা মজুদ ছিল তা দিয়ে এতদিন চলল। এ ছাড়া আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো না হলে কার্গোও আসতে পারছে না। আবার জাহাজেও পণ্য আসছে না। ফলে সবমিলিয়ে সমস্যায় আছি।’
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে আদার সরবরাহ কমে যাওয়ার কথা নয়। রোজা এলেই একটি ব্যবসায়ী পক্ষ রয়েছে তারা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াবেই। এটি তাদেরই কাজ। কিছু অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী রয়েছে। সম্ভবত এটি তারাই করছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আদার চাহিদা একটু বাড়তে পারে। তাই বলে কেজিতে ১০০ টাকার বেশি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের উচিৎ বাজার মনিটরিং করা। বাজারে কেন আদা নেই তা খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।’