সিএমএসডিতে থাকা পিপিইর ৭০ ভাগই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের
২০ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৫৪
ঢাকা: বর্তমানে বাংলাদেশে যে পিপিইগুলো দেওয়া হয়েছে তার ৭০ ভাগই দেশীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী মানদণ্ড বজায় রেখে তৈরি করা হয়। বাকি ৩০ ভাগ চীন থেকে আমদানি করা হয়।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ওষধাগার (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সিএমএসডি কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ হাসপাতালে আইসিইউতে কর্মরত, বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসার সঙ্গে সংযুক্ত, স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে জড়িত এবং অন্যান্য প্রশাসনিক জনবলের জন্য আমরা পিপিই মজুত করছি। এছাড়াও আমরা পিপিই সরবরাহ করছি দেশের প্রতিটি পিসিআর ল্যাবে। এছাড়াও যারা মাঠ পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করছেন তাদের পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫০ টি পিপিই গ্রহণ করেছি। বিতরণ করেছি দশ লক্ষ ৯৩ হাজার ১১৯টি। বর্তমানে বজুদ আছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯২১টি। আমাদের এই মাসেই পিপিই সংগ্রহের লক্ষমাত্রা হলো ২০ লক্ষ। প্রতিদিন আমরা এক লক্ষের অধিক পিপিই গ্রহণ করে থাকি।
সার্জিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, হেড কভার ইত্যাদিসহ প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার পিপিই সারা দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিতরণ করা হয় বলেও জানান সিএমএসডি পরিচালক।
তিনি বলেন, সর্বমোট ১৪ লাখ ৬৭ হাজার পিপিই ক্রয় করতে সরকারের আনুমানিক ১৭৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিদিন পিপিই বিতরণে প্রায় সাত থেকে আট কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।