ডাক সেবা নিরবিচ্ছন্ন রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
২১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২৩
ঢাকা: দেশের ডাক সেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ০১৫৫০০৬৩৭০০-২২ নম্বরে কল করে ডাক সেবা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা জানানো যাবে। পাওয়া যাবে সেবাও। এছাড়া ডাক অধিদফতরের ওয়েবসাইটও (www.bdpost.gov.bd) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে কাজ করবে।
মঙ্গলাবার (২১ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদফতর থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির সময়ে সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, ডাক জীবন বিমা, ডিজিটাল কমার্স এবং করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোতে দ্রুত পৌঁছানোসহ নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কোভিড-১৯ সৃষ্ট বৈশ্বিক দুর্যোগে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ জনিত সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে ডাক সেবা অব্যাহত রাখতে গত ২৮ মার্চ জিপিও, জেলা প্রধান ডাকঘর, উপজেলা ডাকঘর, সাব পোস্ট অফিস, টাউন সাব পোস্ট অফিস এবং সীমিত সংখ্যক গ্রামীণ ডাকঘর ও ডিজিটাল ডাকঘরের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এ সকল ডাকঘর থেকে সকল কার্যদিবসে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ডাকসেবা সীমিত পরিসরে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রদান করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে ডাক অধিদফতরের মেইল গাড়িসমূহ দেশব্যাপী নিয়মিত চলাচল করছে। সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে মধ্যে গত ২৮ মার্চ থেকে গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ১৯ জন গ্রাহক ডাকসেবা গ্রহণ করেছেন। এ সময় পর্যন্ত মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ঊনআশি টাকা।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি এই ছুটিকালীন সময়ে সাতটি সাতটনি গাড়ি, এগারোটি পাঁচ টনি গাড়ি, ৩০টি তিন টনি গাড়ি, ২০টি দেড় টনি গাড়ি এবং ১৯টি এক টনি কাভার ভ্যান ঢাকার কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে কিটস, পিপিই, ঔষধপত্র এবং মেইল ও ক্যাশ পরিবহণ করে আসছে।
এছাড়াও বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময়েও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে বসে নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাল সেবা নির্বিঘ্ন করতে বেশি কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাকে জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করে গত ২৪ মার্চের সরকারি আদেশ অন্যতম। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবায় নিয়োজিত সার্ভিস সমূহ বিশেষ করে সাবমেরিন ক্যাবল, টেলিটক এবং বিটিসিএল এর জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া মন্ত্রী নেটওয়ার্ক সচল রাখাসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে নিরলসভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।