রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে প্রণোদনা অর্থ দেওয়ার আহবান ডিসিসিআই’র
২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৯:৩১
ঢাকা: প্রণোদনার অর্থ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেওয়ার আহবান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ও ডিসিসিআই-এর এক আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ এ আহ্বান জানান।
বুধবার (২২ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা সত্ত্বেও ব্যাংক থেকে ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় কুটির, এমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তি সহজতর নাও হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ কুটির, এসএমই, এমএসএমই এবং নগদ লেনদেন নির্ভর ব্যবসাসমূহ ঋণ প্রাপ্তির আবশ্যকীয়তা পূরণের অভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই ব্যাংকের সঙ্গে ততটা ভালো সম্পর্ক না থাকার কারণে প্রণোদনার টাকা থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই এমএসএমই-এর প্রণোদনার টাকা এমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের প্রদান করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সম্পৃক্ত করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এদিকে ক্রমান্বয়ে কিভাবে কিছু কিছু ব্যাবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে পুণরায় চালু করা যায় তার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করার জন্য ডিসিসিআই অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়।
সংগঠনটির আরও দাবির মধ্যে রয়েছে, নতুন এমএসএমই যাদের ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ ২ বছর বা তারও কম, তাদের ব্যবসা পুণঃনিবন্ধন ফি, গ্যাস, বিদুৎ ও পানির বিল, ব্যাংক সংক্রান্ত অন্যান্য চার্জ এবং আমদানি, রফতানি সংক্রান্ত বন্দরের চার্জসমূহ মওকুফ করা। এ ধরণের এমএসএমই-দের দুই বছরের জন্য পুণঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ১ (এক) শতাংশ সুদে চলতি মূলধন হিসেবে ‘ব্যবসায় পুনরুদ্ধার তহবিল’ প্রদান করা যেতে পারে।
ই-কমার্স ব্যবসাতে যাতে আরও এসএমই খাতের উদ্যোক্তাগণ আগ্রহী হতে পারেন তাই তিনি তাদেরকে ভ্যাট, ট্যাক্স অব্যাহতি দেওয়া অথবা নগদ প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব করে ডিসিসিআই।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর জোরারোপ করে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই সকল স্তরের মানুষের কথা বিবেচনায় একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের লক্ষে নীতিমালা গ্রহণ করেছে। স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রণোদনা প্যাকেজকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, আর এ সকল পদক্ষেপ ও কর্মসূচি অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার সাথে নেওয়া হয়েছে।