করোনা সংকটে বাড়ি ভাড়া মওকুফের দাবি
২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৩২
ঢাকা: মহামারি করোনার কারণে ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষকে রক্ষায় বাসা ভাড়া মওকুফের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) ই-মেইলে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে যুদ্ধাভাব বিরাজ করছে।’ এসময় সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ভাড়া মওকুফের দাবিও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক) নামে এক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঘরে থাকা মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাড়ি ভাড়া কমিয়ে আনা এবং হোল্ডিং ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল মওকুফ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান সংগঠনটির আহবায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারেণ সরকারি ছুটি এবং লকডাউন থাকায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাসার বাইরে যেতে পারছেন না, জীবন জীবিকার দৈনন্দিন কাজও করতে পারছেন না। রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ হয়েছেন কর্মহীন। এর মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। একদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে অর্থাভাব। এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। এ পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণের পক্ষে বাসাভাড়া দিয়ে নগর জীবনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয় পক্ষের সুবিধার কথা চিন্তা করে দুর্যোগকালীন সময়ে বাসা ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব পেশ করে সংগঠনটি।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসমূহ সরকার ঘোষিত করোনার দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা, যেসব বাড়ির মালিকদের ভাড়াকৃত বাড়ি নির্মাণের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ আছে, তাদের ব্যাংক ঋণের কিস্তি অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের জন্য সুদ মুক্ত অবস্থায় স্থগিত করা, সরকার ঘোষিত করোনার দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া ও দুর্যোগকালীন সময়ে বাড়িভাড়া অর্ধেক কমিয়ে আনা।