ঢাকা: ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ)-এর ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে জনসমাগম এড়াতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএটি বাংলাদেশ এই সাধারণ সভার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
গতকাল বুধবার (২২ এপ্রিল) কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তগুলো যথাক্রমে- আর্থিক বিবরণী ২০১৯, পরিচালকগণের নির্বাচন, বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগ, কর্পোরেট গভর্নেন্স নিরীক্ষক নিয়োগ এবং শেয়ার প্রতি ৪ শ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন।
এছাড়া শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক পর্ষদের সঙ্গে স্বতস্ফূর্ত মতবিনিময় এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। করোনার মহামারীর এই অচল অবস্থার মধ্যেও সময়মত ডিভিডেন্ট দেওয়াকে উল্লেখযোগ্য অবদান বলে মনে করছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৯ সালে বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটিবি ২৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য রাজস্ব বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। অধিকন্তু, কোম্পানির বিভিন্ন করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি পদক্ষেপসমূহ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা ও অন্যান্য জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
সভায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, কে এইচ মাসুদ সিদ্দীকি, এ কে এম আফতাব উল ইসলাম এফসিএ, মো. আবদুল হালিম, মো. আাবুল হোসেইন, তাহমিনা বেগম, স্টিফ্যান ম্যাথুস এবং হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমান এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।