সংকটেও সচল থাকবে বন্দর, সব পণ্য অফডকে খালাসের অনুমতি
২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৯:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে যত সংকটই হোক, চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া নৌপরিবহন সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সব ধরণের আমদানি পণ্য বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সরিয়ে নিয়ে খালাসের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।
মতবিনিময় শেষে সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কনটেইনার জট নিয়ে বন্দর এযাবতকালে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই জট নিরসনের উপায় আমরা খুঁজছি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রথম পর্যায়ে ৩৮টি, পরে ছয়টি এবং আজকে (বৃহস্পতিবার) এখানে সভা চলাকালে ঢাকায় কেবিনেট সেক্রেটারি সভাপতিত্বে আরেকটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সকল পণ্য অফডকের মাধ্যমে আমরা অপসারণ করতে পারবো।’
এনবিআরের সিদ্ধান্তের ফলে ১৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার বন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে কনটেইনার জট অনেকখানি সমাধান হবে। প্রায় ৫০ শতাংশ জট কমে যাবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ৩৮ ধরণের পণ্যবাহী কনটেইনার অফডকে নিয়ে খালাস করা হতো। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে পণ্য খালাস কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তা বন্দরের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়। গত ১৮ এপ্রিল এনবিআরের এক আদেশে আরও ছয় ধরণের পণ্য অফডকগুলোতে নিয়ে খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এতে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মোহাম্মদ মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার চট্টগ্রামের ১৯টি অফডকে সরিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ ও খালাসের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আগামী ৩০ জুনের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে বলেও আদেশে উল্লেখ রয়েছে।
বন্দর পরিদর্শনে আসা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত বিনিময় শেষে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা সংক্রান্ত যত সংকট তৈরি হোক না কেন, আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল রাখার জন্যে।
মতবিনিময় সভায় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদও উপস্থিত ছিলেন।