Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খেটে খাওয়া মানুষকে দুই সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিন’


২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৪৫

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে দুই সপ্তাহের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সুপারিশ করেছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় আরও আটটি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল সাংবাদ সম্মেলনে অ্যাকশন এইডের পক্ষ থেকে এ সুপারিশ করা হয়। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরসহ আরও কয়েকটি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অ্যাকশন এইডের সুপারিশে বলা হয়েছে— শহর ও গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে নারী শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, ইটভাটার শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি ও জোগালি, বদলি শ্রমিক, পেশাক শ্রমিক, ড্রাইভারসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বহুমুখী কাজে যুক্ত এবং দলিত জনগোষ্ঠী, মৎস্যজীবী, ধোপা, নাপিত, চা শ্রমিক— এসব জনগোষ্ঠীর জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। এতে করে তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করা যাবে।

সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে— জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কমিউনিটি রেডিও, টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য সরবরাহে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে, যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা দূর হয় এবং আতঙ্ক কাজ না করে; সব জেলার হাসপাতালে করোনা শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং চর, হাওর, পাহাড় ও বস্তিসহ ভৌগোলিক অঞ্চল বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা নিশ্চিত করা; সব এলাকার মানুষের জন্য মাস্ক, সাবান ও স্যানিটাইজার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা; গ্রামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানো; কৃষিপণ্য, দুধ, ডিম ও মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও গুদামজাতকরণের পাশাপাশি পণ্য বিনিময় এবং ত্রাণের তালিকায় এসব পণ্য সংযুক্ত করা।

বিজ্ঞাপন

সুপারিশে বলা হয়েছে— দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় পর্যায়ে তরুণদের সুরক্ষায় অনলাইনে সঠিক দিক-নির্দেশনা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে; স্থানীয় পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে; নারী-শিশু নির্যাতন রোধে প্রশাসনিক দায়িত্ব জোরদার করতে হবে; অনলাইনভিত্তিক সহায়তা ও রেফারেল সার্ভিস কার্যকর রাখতে হবে; সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে নারীপ্রধান পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে; আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বিবেচনায় রেখে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাকশন এইড জানিয়েছে, পরিবহন ও আঞ্চলিক লকডাউনের কারণে পণ্যের বাজার সংকুচিত হয়েছে, কৃষক তার উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, আবার উপকরণ সরবরাহে অপ্রতুলতায় আগামী উৎপাদন কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে আগামী দিনে দুর্ভিক্ষ পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই লকডাউন কার্যকর করার পাশপাশি মানুষের ক্ষুধা, জীবনযাপনের দৈনিন্দন অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলোর নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে। এছাড়া লকডাউনের মেয়াদ এরই মধ্যে একমাস পেরিয়ে গেছে। এ অবস্থায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষেরা বেকার বসে আছেন। বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন দলিত জনগোষ্ঠী, মৎস্যজীবী, ধোপা, নাপিত, চা শ্রমিক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, আদিবাসী ও বস্তিবাসীসহ অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, যার জের ধরে নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাও বাড়ছে। এই সময় নিজ গৃহে নারী ও কন্যাশিশুরদের বেশি সুরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সারাদেশে নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েও অনেক ভুক্তভোগী ঘরের বাইরে যেতে না পারায় থানায়ও অভিযোগ করতে পারছেন না।

৮ প্রস্তাব অ্যাকশন এইড করোনাভাইরাস করোনাভাইরাসের প্রভাব করোনার প্রভাব দুই সপ্তাহের খাবার নিম্ন আয়ের মানুষ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর