Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃহৎশিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল


২৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:২৬

ঢাকা : নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি নিজস্ব ফান্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ফান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের মেয়াদ হবে তিন বছর। এ তহবিল থেকে নেওয়া ঋণের সুদের পরিমাণ হবে চার শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হযেছে, নভেল করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত আর্থিক সহায়তার আওতায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ/প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়। এ সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী তফসিলি ব্যাংক /আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা দেবে। এই আর্থিক সহায়তা প্যাকজের তারল্য সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।এই স্কিমের আওতায় ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ হতে তাদের কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ অর্থ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তহবিলের সুদ/মুনাফার হার : এই তহবিলের সুদ/মুনাফার হার হবে চার শতাংশ, যা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ভিত্তিক) আরোপিত হবে।

ব্যাংক-ওয়ারী তহবিল বরাদ্দ : প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত তহবিলের বিপরীতে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন পাওয়া যাবে। তবে স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ/বিনিয়োগ কোনভাবেই অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান : এই স্কীমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এর সাথে একটি অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অংশগ্রহণমূলক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্কিমের আওতায় নিজস্ব সীমার মধ্যে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

স্কিমের আওতায় আবেদন গ্রহণ ও পুনঃঅর্থায়ন প্রক্রিয়া : ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণের পর পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসে বিতরণকৃত মোট অর্থের ৫০ শতাংশ পুনঃঅর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য অর্থায়নকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মহাব্যবস্থাপক, ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন বরাবরে আবেদন করবে।

পুনঃঅর্থায়নের জন্য ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদনের তারিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ স্কিম হতে পুনঃঅর্থায়ন করা হবে।

করোনাভাইরাস কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর