Thursday 03 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম ট্রায়ালে ‘ব্যর্থ’ করোনার মার্কিন ওষুধ


২৪ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪০ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৫:২১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর চিকিৎসায় ওষুধ উৎপাদনে হন্যে হয়ে উঠেছে বিশ্বের বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো। তবে এখন পর্যন্ত জাপানের অ্যাভিগানের বাইরে কোনো ওষুধে সাফল্যের খবর মেলেনি। একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে মার্কিন কোম্পানি জিলিড সায়েন্সকেও। প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের তৈরি ‘রেমডেসিভির’ নামের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধটি থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, চীনে এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালু হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসে আক্রন্ত যাদের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে, এই ওষুধে তাদের তেমন কোনো শারীরিক উন্নতি দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এই ব্যর্থতার খবর আবার বেরিয়ে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাঁস হওয়া এক নথিতে। ভুল করে তারা এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটের একটি অংশে আপডেট হিসেবে যুক্ত করেছিল। পরে ওই পোস্টটি সাইট থেকে সরিয়ে নিলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকার করে নিয়েছে, তথ্যে কোনো ভুল নেই।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই পোস্টে বলা হয়, রেমডেসিভির রোগীর শারীরিক অবস্থার যেমন উন্নতি করতে পারেনি, তেমনি করোনাভাইরাসের উপস্থিতিও কমাতে পারেনি।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ২৩৭ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫৮ জনকে রেমডেসিভির ওষুধটি দেওয়া হয়, বাকি ৭৯ জনকে এই ওষুধ দেওয়া হয়নি।

একমাস পর দেখা যায়, ওষুধ সেবন করা রোগীদের ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ মারা গেছেন। অন্যদিকে যাদের ওষুধ দেওয়া হয়নি, তাদের ১২ দশমিক ৮ শতাংশ মারা গেছেন। তবে ওষুধটির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ছিল। যে কারণে ওষুধটির প্রয়োগ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কে তাদের পোস্টে সারাংশ হিসেবে লিখেছে, রেমডেসিভির ওষুধটির ‘ক্লিনিক্যাল’ বা ‘ভাইরোলজিক্যাল’ উপকার পাওয়া যায়নি।

রেমডেসিভিরের উৎপাদন জিলিড সায়েন্স অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই পোস্টকে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ হিসেবে অভিহিত করছে। কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা মনে করছি, ওই পোস্টে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোস্ট) গবেষণাটির বৈশিষ্ট্য সঠিকভাবে চিত্রায়িত হয়নি। খুব অল্পসংখ্যক ব্যক্তি পাওয়া যাওয়ায় দ্রুতই ওষুধ প্রয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল। ফলে পরিসংখ্যানগত দিক থেকে এটি অর্থবহ নয়।

তিনি আরও বলেন, এই ট্রায়ালের ফল সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো পর্যাপ্ত নয়। যদিও আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা রোগীদের মধ্যে এটি ভালো কাজ করছিল— এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল।

করোনার ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জিলিড সায়েন্স টপ নিউজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমডেসিভির

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর