‘দক্ষিণ এশিয়ায় আরও সমন্বয়-সক্ষমতা-জ্ঞান বণ্টন প্রয়োজন’
২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪১
ঢাকা: চলমান নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এ জন্য শক্তিশালী বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও সমন্বয়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বণ্টনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সহযোগিতায় যৌথভাবে ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজতর করার সম্ভাব্য উপায় ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ বিষয়ক ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ করোনা মোকাবিলায় এমন মন্তব্য করেন। ওয়েবিনারটি ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন থেকে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এক বার্তায় জানানো হয়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ শিল্প নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান যে, বিগত কয়েক মাসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, এ বছরের মার্চ মাসে পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে ট্রাক আসা যাওয়ার সংখ্যায় ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে। চলমান কোভিড মহামারির কারণে উভয়পক্ষের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলো মোকাবিলায় সমস্ত অংশীদারদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
হাই কমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-বাংলাদেশের অসাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তারা শীঘ্রই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, মহামারি মোকাবিলায় উভয় সরকার একসঙ্গে কাজ করছে এবং দুই দেশই তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলোও চিহ্নিত করতে পারবে।
হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ উদীয়মান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বার্তায় বলা হয়, প্রাণ গ্রুপ, ইফাদ গ্রুপ, এসবিআই বাংলাদেশ, ইন্দোফিল এবং সিইএটির শিল্প নেতারা অন্যদের মধ্যে বৈশ্বিক বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ধারণা তুলে ধরেন।